1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি সারাবিশ্বের সমস্যা: প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৭ মার্চ, ২০২২
  • ৫৪৬ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে কথা আসছে। এটা সারাবিশ্বের সমস্যা। করোনা মহামারির কারণে সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা। যার কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে সব দেশেই দ্রব্যমূল্য ভীষণভাবে বেড়েছে। এর মধ্য যুক্ত হয়েছে অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনা (যুদ্ধ)। ইউক্রেনে হামলা করেছে রাশিয়া। এরও একটা কুফল তো আছেই। সেই কুফল আমরাও ভোগ করছি। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের এখানেও কিছু দ্রব্যমূল্য বেড়েছে।

সোমবার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এতে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমাদের কিছু লোক তো আছেই, সুযোগ পেলেই অধিক মুনাফা নিয়ে কিছু টাকা-পয়সা কামাই করে নিতে চান। আমরা সেটা মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করেছি। পাশাপাশি দেশবাসী, আমাদের দলের নেতাকর্মীসহ সবাইকে বলবো, খাদ্যের অভাব যাতে না হয়, সেজন্য প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদ করবেন, অনাবাদি যেন না থাকে। নিজের খাদ্য নিজে উৎপাদনের চেষ্টা করবেন, নিজের চাহিদা মেটাবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ৭ই মার্চের ভাষণ বাজানো নিষিদ্ধ ছিল। আমাদের ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী, আমাদের আওয়ামী লীগের অনেক নেতা কর্মীকে ৭ই মার্চের ভাষণ বাজাতে গিয়ে নির্যাতিত হতে হয়েছে। তাদের গুলি খেয়ে মরতে হয়েছে। তাদের ওপর চরম অত্যাচার চলেছে। ২১ বছর বাঙালি জাতি স্বাধীনতার বিকৃত ইতিহাস শুনেছে। আর একুশটা বছর ধরেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, লাখো শহীদের রক্তদান, আমাদের সংগ্রাম— সবকিছু ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আজ এটি প্রমাণিত সত্য যে, সত্য কেউ কখনো মুছে ফেলতে পারে না। আর ৭ই মার্চের ভাষণেই তো জাতির পিতা বলে গেছেন— কেউ দাবায়া রাখতে পারবা না। বাঙালিকে কেউ দাবায় রাখতে পারে নাই।

সরকার প্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন ভাষণ দিতে যাবেন তখন অনেক রাজনৈতিক দল, অনেক ছাত্রনেতা পরামর্শ দিতে থাকেন যে কি করা উচিত। কয়েকটা ছাত্রনেতা তো বলেছিলেন যে আজ সরাসরি তো স্বাধীনতার ঘোষণা দিতেই হবে। না হলে তো মানুষ হতাশ হয়ে যাবে— এমনটাও বলেছিল। আমাদের কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী অনেকে অনেক পয়েন্ট লিখে লিখে দিয়ে গেছেন। অনেকেই পরামর্শ দিয়ে গেছেন। আমাদের বাসাটা তখন উন্মুক্ত ছিল। সবার জন্য খোলা ছিল।

তিনি বলেন, আমার আব্বাকে আমার মা একটা কথাই বলেছিলেন, সারাটা জীবন তুমি সংগ্রাম করেছ এ দেশের মানুষের জন্য। তুমি জানো এ দেশের মানুষের জন্য কোনটা ভালো। তোমার মনে যেটা আসবে তুমি ঠিক সেটাই বলবা। তোমার কারো কথা শোনার প্রয়োজন নাই। আজ আপনারা যে ভাষণটা দেখেন তার (বঙ্গবন্ধুর) কাছে কিন্তু কোনো কাগজ নাই, কিছু নাই। তিনি একাধারে বঞ্চনার ইতিহাস পড়ে যাচ্ছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, একটি মাত্র ভাষণ যা কেউ কোনোদিন বের করতে পারবে না, যে এই ভাষণটা কত ঘণ্টা, কত মিনিট, কত দিন বাজানো হয়েছে। এর হিসাব করা একটি কঠিন ব্যাপার। যুগ যুগ ধরে আমরা শুনছি এবং বাজানো হচ্ছে। কত কোটি কোটি মানুষ শুনেছে। যতই বাধা দেওয়া হয়েছে ততই যেন এই ভাষণটা আরও উদ্ভাসিত হয়েছে।

তিনি বলেন, এখনও এই ভাষণ আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়। এ ভাষণের প্রতিটি লাইন একেকটার কবিতার অংশ। ভাষণের যে ঐতিহাসিক কথা— এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে এই লাইনটা বাজানো হতো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা ভাষণ শেষ করেছেন ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে। বাঙালির জয়, বাংলার জয়, বাংলার মানুষের জয়, এই জয় বাংলা স্লোগান। আমার আত্মবিশ্বাস আর কোনোদিন কেউ এই ইতিহাস মুছে ফেলতে পারবে না। একটি ভাষণের মাধ্যমে বাঙালি জাতি উদ্বুদ্ধ হয়েছিল। সশস্ত্র গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে এবং স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে।

বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপিও বক্তৃতা করেন।

আরো বক্তৃতা করেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি, কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান এমপি, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীর বিক্রম।

এ ছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, শ্রম ও মানব সম্পদ সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও এসএম মান্নান ও বক্তৃতা করেন।
আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..