1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫২ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

সুরক্ষিত রাজধানী : যুদ্ধে ইউক্রেনের কৌশলগত জয়

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৭ মার্চ, ২০২২
  • ৩০২ বার পঠিত

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে কৌশলগত জয় হলো ইউক্রেনের। কিয়েভ পতনের যে আশঙ্কা ছিল, যুদ্ধের ৩২ দিনের মাথায় তা ভুল প্রমাণিত হলো। ইউক্রেন সরকার তো পড়েইনি, বরং হুংকার দিয়ে যুদ্ধজয়ের দাবি করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

ইউক্রেনে হামলার লক্ষ্য পূরণ হওয়ার দাবি করলেও পরিকল্পনা বদলে মস্কোর হঠাৎ পিছু হটার ঘোষণা জেলেনস্কির দাবিকেই সত্য প্রমাণ করছে। ক্রেমলিনের দাবি, তাদের লক্ষ্য এখন দোনবাসের দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেওয়া। রুশ সেনারা সেখানেই জড়ো হচ্ছেন। বিষয়টিকে উপযুক্ত প্রতিঘাত করে পিছু হটতে বাধ্য করার শামিল মনে করছেন জেলেনস্কি।

রাশিয়া এমন সময় পিছু হটার ঘোষণা দিল, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের প্রতিবেশী পোল্যান্ড সফর করছেন। এ ঘোষণার পর পোলিশ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় বাইডেনের মুখে চওড়া হাসি দেখা গেছে। কৌশলগত জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে পোল্যান্ডে বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেস্কি রেজনিকভ।

ইউক্রেনে রুশ হামলার আগে-পরের প্রেক্ষাপট থেকে পরিস্কার- এই যুদ্ধে প্রধান ছায়াশক্তি হয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়ছে যুক্তরাষ্ট্র। বাইডেন শুরু থেকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভদ্মাদিমির পুতিনকে হামলার জন্য বিপর্যয়কর পরিণতির যে হুমকি দিয়েছিলেন, তাতে প্রাথমিকভাবে সফলও তিনি। ন্যাটোর দুর্বল অস্তিত্ব নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছিল, তা চাপা দিয়ে ন্যাটোর অপরিহার্যতা প্রমাণ করতে পেরেছেন বাইডেন।

গতকাল পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রজেজ ডুডা ও বাইডেন বৈঠক করেছেন। সেখানে ডুডা পোল্যান্ডের নিরাপত্তা নিয়ে তার দেশের জনগণের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন। তখন বাইডেন তাকে আশ্বস্ত করে বলেন, সদস্যদের যৌথ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয় ন্যাটোর ৫ নম্বর অনুচ্ছেদ।

ন্যাটোর এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, একটি সদস্য আক্রান্ত হওয়া মানে পুরো ন্যাটো আক্রান্ত হওয়া। আক্রান্ত দেশকে রক্ষা করা ন্যাটোর দায়িত্ব। ইউক্রেনে হামলাকে রাশিয়া কখনও ‘যুদ্ধ’ বলে উল্লেখ করেনি। পুতিনের ভাষায়, এটি বিশেষ সামরিক অভিযান। এর লক্ষ্য ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ করা, নব্যনাৎসিমুক্ত করা ও রুশভাষীদের অস্তিত্ব রক্ষা করা। প্রথম পর্বের অভিযান সমাপ্তির ঘোষণায় রুশ জেনারেল সের্গেই রুদস্কোয় দাবি করেছেন, তারা ইউক্রেনের অধিকাংশ সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করেছেন।

মস্কোর এই অবস্থানকে কৌশলগত পরাজয় হিসেবে বর্ণনা করেছে বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান, সিএনএন, নিউইয়র্ক টাইমস, আলজাজিরাসহ পশ্চিমা সব গণমাধ্যম।

রাশিয়ার স্থল ও বিমান হামলায় ইউক্রেনের ছোট-বড় অনেক শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। রুশ সেনাবাহিনী বিভিন্ন শহর থেকে পিছু হটে দোনবাসের দিকে ধাবিত হলেও কোথাও কোথাও দু’পক্ষের মধ্যে লড়াই হচ্ছে। গতকালও লাভিভে তিনটি বড় বিস্ম্ফোরণ হয়েছে। মারিউপোল, খারকিভ ও খেরসন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। কিয়েভের পতন না হলেও এসব গুরুত্বপূর্ণ নগর এখনও রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মারিউপোলে থেমে থেমে গোলা হামলা হচ্ছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেন নিয়ে মস্কোর যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল, সেখানে কাটছাঁট করতে হচ্ছে। রাশিয়ার প্রথম পর্বের যুদ্ধ শেষের ঘোষণার মানে হলো- এমন একটি পৃথক রেখা তৈরি করা, যার মাধ্যমে পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়া-সমর্থিত বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে আলাদা করে রাখবে।

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..