1. newsmkp@gmail.com : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. info@fxdailyinfo.com : admi2017 :
  3. admin@mkantho.com : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

যুদ্ধ চাই না, তবে প্রস্তুত থাকতে হবে : সেনাবাহিনীকে প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০২২
  • ২৯৪ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট :: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কারও সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায় না বাংলাদেশ। কিন্তু বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে সশস্ত্র বাহিনীকে। এজন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সক্ষম করে তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সকাল ১০টায় ভিডিও কনফারেন্সে পদ্মা সেতুর নিরাপত্তায় নবনির্মিত শেখ রাসেল সেনানিবাস উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই, আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে। আমাদের দেশ উন্নত হবে। আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। জাতির পিতা আমাদেরকে যে পররাষ্ট্রনীতি শিখিয়ে গেছেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়; আমরা সেই নীতিতে বিশ্বাস করি। কিন্তু আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। কখনও যদি আক্রমণ হয়, তবে যেন আমরা প্রতিরোধ করতে পারি। সেভাবেই সশস্ত্র বাহিনীকে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমার ছোট দুই ভাই (শেখ কামাল ও শেখ জামাল) সেনাবাহিনীতে ছিল। ছোট ভাই রাসেলেরও ইচ্ছা ছিল আর্মি অফিসার হবে, হতে পারেনি। আমি সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই, তার নামে সেনানিবাস করায়। এরমধ্য দিয়ে রাসেলের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ না হলেও নামটা সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থাকলো।

এসময় পদ্মা সেতুর নির্মাণের নানা গল্প তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করবে না বলে ঘোষণা দেয়। আমরাও নিয়েছি চ্যালেঞ্জ। কারণ জাতির পিতা বলে গেছেন, ‘বাঙালিদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না।’ আসলেই দাবায়ে রাখতে পারে নাই। আমরা যদি ইচ্ছা করি অসাধ্যকে সাধন সম্ভব।

তিনি বলেন, ২০০১ সালেই পদ্মা সেতুর ভিত্তি আওয়ামী লীগ সরকার দিলেও, বিএনপি ক্ষমতায় এসে তা বন্ধ করে দিয়েছিল। বিশ্বব্যাংকের বাধার পর অনেকেই ভেবেছিলেন, এই সেতু নির্মাণ সম্ভব হবে না। কিন্তু এই সেতু আজ বাস্তব। এই সেতুর নিরাপত্তা অপরিহার্য। সে জন্যই এই সেনানিবাস নির্মাণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন. খুব দ্রুতই এই সেতুতে যান চলাচল শুরু হয়ে যাবে। তাই এই সেতুর নিরাপত্তা একান্তভাবে প্রয়োজন। সেই নিরাপত্তা বিধানের জন্যই ব্যবস্থা নিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, এই সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের জেলগুলোর শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থারই উন্নতি হবে না, সঙ্গে আর্থসামাজিক উন্নতিও হবে। একটা সেতু নিরামাণের মধ্য দিয়ে একটা এলার উন্নতি হয়।

সরকারপ্রধান বলেন, এই সেতু নির্মাণের ফলে ১-২ ভাগ জিডিপি বৃদ্ধি পাবে। সেতু ও সেনানিবাসের মাধ্যমে এই অবহেলিত জনপদের মানুষ আরও এগিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদসহ বিভিন্ন বাহিনী ও সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..