1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

সুনামগঞ্জে পাথর ভাঙার মেশিন বন্ধে ২১ কর্মকর্তাকে আইনি নোটিশ

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২২
  • ৪৬৯ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট :: সুনামগঞ্জের চার উপজেলায় অনুমোদনহীন পাথর ভাঙার (স্টোন ক্রাশার) মেশিনের ব্যবহার বন্ধে জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানসহ সরকারের ২১ কর্মকর্তাকে আইনি নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।

বেলার আইনজীবী এস হাসানুল বান্না এই নোটিশ পাঠিয়েছেন। বেলার সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক শাহ শাহেদা আক্তার নোটিশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নোটিশে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এসব অনুমোদনহীন ক্রাশার মেশিনের ব্যবহার বন্ধে এসব ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ এবং একই সঙ্গে নোটিশ পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে গৃহীত পদক্ষেপ জানানোর কথা বলা হয়েছে। অন্যথায় তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

নোটিশপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী, সিলেটের পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক, সুনামগঞ্জের সদর, ছাতক, তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং এই চার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।

যত্রতত্র পাথর ভাঙার এসব মেশিন স্থাপন করায় মারাত্মক শব্দদূষণের পাশাপাশি ক্ষতি হচ্ছে প্রকৃতি, পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের।

এ কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিক্ষা কার্যক্রম, আর্থসামাজিক, কৃষির ওপর।

নোটিশে উল্লেখ আছে, সুনামগঞ্জের চারটি উপজেলায় অনুমোদন ছাড়াই চলছে পাথর ভাঙার মেশিন।

জেলার সদর, ছাতক, তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলায় সুরমা নদী, চলতি নদী, জাদুকাটা নদী, রক্তি নদী, বৌলাই নদীর তীরে, তাহিরপুরের লাউড়েরগড় ও আনোয়ারপুর এলাকায় মানুষের বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাজারের পাশে এসব মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। যত্রতত্র এগুলো স্থাপন করায় মারাত্মক শব্দদূষণের পাশাপাশি ক্ষতি হচ্ছে প্রকৃতি, পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের। এ কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিক্ষা কার্যক্রম, আর্থসামাজিক, কৃষির ওপর। পাথর ভাঙার মেশিন স্থাপনে নীতিমালা থাকলেও সুনামগঞ্জে এসব মানা হচ্ছে না। এসব মেশিন স্থাপনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন বা লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্র নেওয়ার কথা থাকলেও এসব নেওয়া হয়নি।

এ প্রসঙ্গে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এগুলোকে একটা শৃঙ্খলায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে এসব মেশিনের তালিকা হচ্ছে। এর সঙ্গে মানুষের জীবিকা জড়িয়ে আছে। তবে পরিবেশ ও মানুষের যাতে ক্ষতি না হয়, এ জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..