মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৫০ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: রাজধানীর মতিঝিল ও পল্টন থানায় করা দুটি মামলায় হেফাজতে ইসলামের সদ্যবিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে ৭ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
বিচারক ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের ঘটনায় মতিঝিল থানায় করা মামলায় ৩ দিন এবং মোদিবিরোধী আন্দোলনের সময়, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার ঘটনায় পল্টন থানার করা মামলায় মামুনুলকে ৪ দিনের হেফাজতে নেয়ার আদেশ দেন।
পুলিশ দুই মামলায় ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিল।
এর আগে সোমবার বেলা ১১টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় মামুনুলকে আদালতে তোলা হয়।
আগের দিন রোববার শাপলা চত্বরের মামলায় মামুনুলকে ১০ দিন হেফাজতে রাখার আবেদন করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) মতিঝিল বিভাগ।
বিষয়টি জানিয়েছিলেন আদালতের মতিঝিল থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার একজন সদস্য।
গত কয়েক বছরে তুমুল আলোচিত হেফাজত নেতা মামুনুলকে গত ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রহমানিয়া মাদরাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে মোহাম্মদপুর থানায় করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলেও পরে আর অনেক মামলা পাওয়া যায় তার নামে।
গ্রেপ্তারের পর দিন মামুনুলকে আদালতে তোলা হয়। বেআইনি সমাবেশ, পুলিশকে মারধর, হত্যাচেষ্টা ও চুরির অভিযোগে করা সেই মামলায় সাত দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পায় পুলিশ।
মহানগর আদালতের হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী এ রিমান্ডের আদেশ দেন।
জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুলের ব্যক্তিগত জীবনে একাধিক নারী সংশ্লিষ্টতা ছাড়াও তার জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে নানা তথ্য পাওয়ার কথাও জানিয়েছে পুলিশ।
এই সাত দিনের রিমান্ড শেষ হয় সোমবার। তার আগের দিনই নতুন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়।
মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নতুন যে মামলায় রিমান্ড চাওয়া হয়েছে, সেটি আট বছর আগের। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে উঠা গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে জড়িতদের ধর্মদ্রোহী আখ্যা দিয়ে ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকা অবরোধের ডাক দেয় হেফাজত।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি না থাকলেও হঠাৎ করে সংগঠনটি শাপলা চত্বরে সমাবেশের ঘোষণা দেয়। আর বিকেলে সেখানে জড়ো হওয়ার পর সেখান থেকে সরে দাঁড়াতে অস্বীকার করে। এক পর্যায়ে তারা সরকার পতনের দাবি করতে তাকে।
দিনভর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় হেফাজত কর্মীরা। মামুনুল হক ওই সমাবেশে অংশ নিয়ে পরদিন থেকে নতুন সরকারের ঘোষণা দেন।