সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:০৯ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দুই তরুণের মৃত্যু হয়। তাঁদের মধ্যে একজন কুরিয়ার কর্মী নাহিদ হোসেন, অন্যজন দোকানকর্মী মোরসালিন। হত্যা মামলার তদন্তকারী সংস্থা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেছেন, ‘নাহিদ হত্যা মামলার আসামিদের শনাক্ত করা গেলেও মোরসালিন কীভাবে মারা গেছেন সেটা নিশ্চিত হতে পারেননি তাঁরা। তবে তাঁদের ধারণা, সংঘর্ষে ইটের আঘাতেই মারা গেছেন তিনি।’
আজ বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম।
মাহবুব আলম বলেন, ‘ঘটনার তদন্তে তাঁদের হাতে ইতিমধ্যে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ চলে এসেছে। শিগগিরই আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।’
নাহিদ হত্যা মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজ দেখে নাহিদ হত্যা মামলায় অনেককে শনাক্ত করা গেছে। তবে ঈদের ছুটিতে হল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বাসায় চলে গেছেন। আবার অনেকে আত্মগোপনে আছেন। তাঁদের ধরতে একাধিক গোয়েন্দা পুলিশের টিম অভিযান চালাচ্ছে।’
শনাক্তকারীদের মধ্যে ছাত্রলীগের সদস্য আছেন কি না, জানতে চাইলে মাহবুব আলম বলেন, ‘সেখানে ছাত্রলীগের কোনো অস্তিত্ব নেই। তবে আমাদের কাছে রাজনৈতিক পরিচয়ও কোনো মুখ্য নয়। ওই সংঘর্ষে যাঁরা হেলমেট পরে মাঠে নেমেছেন, তাঁরা সবাই সন্ত্রাসী। তাঁদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে।’
তিনি বলেন, ঢাকা কলেজের হোস্টেল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই বাড়ি চলে গেছে অথবা আত্মগোপনে আছে। তবে ডিবির একাধিক টিম তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে। শিগগির এ বিষয়ে ভালো ফল জানানো হবে।
গত সোমবার ১৮ এপ্রিল রাতে রাজধানীর নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষ হয়। নিউমার্কেটের দুটি খাবারের দোকানের দুই কর্মীর বিতণ্ডা থেকে ওই ঘটনার সূত্রপাত। এর জের ধরে ১৯ এপ্রিল (গত মঙ্গলবার) দিনভর রাজধানীর মিরপুর সড়কের নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সঙ্গে স্থানীয় বিভিন্ন দোকানমালিক-কর্মচারী ও হকারদের সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে মারা যান দুজন। একজন কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মী নাহিদ হোসেন, অন্যজন দোকানকর্মী মোহাম্মদ মোরসালিন। নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় মোট পাঁচটি মামলা হয়। এর মধ্যে হত্যা মামলা দুটি। পাঁচ মামলায় মোট আসামি ১ হাজার ৮০০ জন। এর মধ্যে নাম উল্লেখ করা আসামি ২৪ জন, অন্যরা সবাই অজ্ঞাতপরিচয়।