শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২০ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার প্রাপ্যতা এবং চলমান সংকট বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যায়ে জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ। তবে এতে রাখা হয়নি ভারতকে।
আজ মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরের যেকোনো সময়ে সময় এই বৈঠক শুরু হবে। এতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই নেতৃত্ব দেবেন। অপর পাঁচজন হলেন- বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হানিফ আতমার, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাকদুম শাহ মোহাম্মদ কুরেশি, শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীনেশ গুনবর্ধনে ও নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদ্বীপ গাওয়ালি।
চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেঙ্গহি একদিনের সফরে ঢাকায় পা রাখার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই এ ঘোষণা আসলো।
চীনের উদ্যোগে বাংলাদেশসহ ছয় দেশের টিকার মজুদ তৈরির চেষ্টার উদ্যোগ হিসেবে এ বৈঠক হচ্ছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র।
মন্ত্রণালয় বলছে, ভারত নিজেই এখন নভেল করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে জর্জরিত। টিকার জন্য বাংলাদেশ আগাম টাকা দিলেও ভারত চালান পাঠাতে পারছে না।
এমন পরিস্থিতিতে ভারতকে দ্রুত টিকা পাঠানোর অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি বিকল্প উৎসর খোঁজেও অগ্রসর হয়েছে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, কোভিড দীর্ঘ মেয়াদে থাকতে পারে- এমনটি আঁচ করে বাংলাদেশ চীনের উদ্যোগে ছয় দেশের টিকার মজুদ সৃষ্টির পথেও হাঁটছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘চীনের উদ্যোগে বৈঠক হচ্ছে। সেখানে এই ছয় দেশের টিকার মজুদ গড়ার কাঠামো নিয়ে আলোচনা হবে।’
তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে যে কোভিড খুব সহজে যাচ্ছে না। তাই দীর্ঘ মেয়াদে টিকা প্রয়োজন হবে। তা ছাড়া আগামী দিনে কোভিডের মতো মহামারির ক্ষেত্রে জরুরি প্রয়োজন মেটাতে মজুদ কাঠামো সৃষ্টির বিষয়ে আলোচনা চলছে। টিকা নিয়ে এত দুশ্চিন্তার কারণ নেই। পরিকল্পনা অনুযায়ী যথাসময়ে পর্যাপ্ত টিকা থাকবে।’
মোমেন বলেন, ‘ভারতের দুটি চালান আসতে দেরি হয়ে গেছে। ভারত আমাদের বলেছে যে তারা পাঠাবে। কিন্তু তাদের নিজেদেরই চাহিদা এত বেশি যে ঝামেলায় পড়েছে।’