1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৫ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

শতভাগ ভোট পড়ার ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছি : সাবেক সিইসি

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৪ জুন, ২০২২
  • ১৪৫ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট :: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোথাও কোথাও শতভাগ ভোট পড়ার ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

শনিবার (৪ জুন) দুপুরে তেজগাঁওয়ের এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন সম্ভব’ শীর্ষক ছায়া সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

মেয়াদ শেষের পর প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়া কে এম নূরুল হুদার কাছে ব্যর্থতাতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি নিজের অস্বস্তির কথা জানান।

তিনি বলেন, কতগুলো বিষয় নিয়ে অস্বস্তিতে ছিলাম। কোথাও কোথাও শতভাগ ভোট পড়েছে। এগুলো আমি সাংবাদিকদের বার বার বলেছি। আমি আসার আগেই এসব প্রশ্নের উত্তর মিডিয়ার সামনে পরিষ্কার করেছি। এটা একটা অস্বস্তিকর বিষয়, গ্রহণযোগ্য বিষয় নয় যে শতভাগ ভোট হবে।

‘তবে আমি সঙ্গে সঙ্গে বলেছি যে, এখান থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র উপায় হলো আদালত। ইসির সীমাবদ্ধতা হলো রিটার্নিং অফিসার যদি আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করে দেন, তাহলে ইসির হাতে আর কিছু থাকে না। সেটা চলে যায় আদালতে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে ফলাফল প্রদান পর্যন্ত ইসির নির্বাচন সংক্রান্ত কাজ।’ যোগ করেন সাবেক সিইসি।

তিনি বলেন, আমরা অনেক বড় বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সংসদ সদস্য যারা আচরণবিধি মান্য করেননি, তাদের বিরুদ্ধে কেস (মামলা) আছে। একাধিক মামলা আদালতে পেন্ডিং আছে। কুমিল্লার একটা পুরো নির্বাচন আমরা স্থগিত করে দিয়েছি। বহু নির্বাচনের কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছি। ইসির কাছে অভিযোগ আসলেই সঙ্গে সঙ্গে সেটা বন্ধ করা যায় না। সেটার একটা তাৎক্ষণিক তদন্ত করতে হয়। সত্য-মিথ্যা যাচাই করে নির্বাচন কমিশন সন্তুষ্ট হয়। তারপর ইসি সিদ্ধান্ত নেয়। আমি তাদের আহ্বান জানিয়েছিলাম, আপনারা আসেন আদালতের শরণাপন্ন হন। কারণ ইসির হাতে কিছু আর নেই। এ ব্যাপারে একটা অস্বস্তি আছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ছয় মাস পর প্রকাশিত কেন্দ্র-ভিত্তিক ফলাফলে অস্বাভাবিক ভোট পড়ার চিত্র উঠে আসে। প্রায় শতাধিক কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়ার ঘটনায় তৎকালীন সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেছিলেন, ‘শতভাগ ভোট পড়াটা অস্বাভাবিক’।

কমিশনারদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতপার্থক্য ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, সবার সম্মতিক্রমেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এসময় আলোচিত সাবেক ইসি মাহবুব তালুদরকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমার মনে হয় না এটা নিয়ে বলা ঠিক হবে আর।

এক প্রশ্নের জবাবে নূরুল হুদা বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন পরিচালনা করা ইসির জন্য কিছুটা চ্যালেঞ্জ। তবে সেটি কমিশন চাইলে অতিক্রম করা সম্ভব। পাঁচ বছর দ্বায়িত্ব পালনকালে কোনো চাপ সৃষ্টি হয়নি।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি না এলে সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না, পাবে না। আমি মনে করি এই নির্বাচনে বিএনপিকে নির্বাচনী মাঠে আনতে হবে এবং সেটার দায়িত্ব সরকারি দলকে নিতে হবে। বিএনপিকেও আমার অনুরোধ থাকবে, নির্বাচন বর্জন করে, বয়কট করে সমস্যার সমাধান হবে না। আপনারা আলোচনা করে ঠিক করবেন কীভাবে নির্বাচনে যাবেন। বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে না পারলে সিইসির পদত্যাগের বিষয়ে তিনি বলেন, পদত্যাগ করলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায় না। পদত্যাগ কাপুরুষোচিত বিষয়। এটি আমার পছন্দ না।

ইভিএমের প্রতি সমর্থন দিয়ে তিনি বলেন, কর্মজীবনের শুরু থেকে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। তখন থেকে দেখেছি বিভিন্ন সময় ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া হতো। ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের সেই কালচারটা ইভিএমের মাধ্যমে বন্ধ হয়েছে। আরও অন্তত ২০ বছর আমাদের ইভিএমে থাকা উচিত।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..