শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : সংসদ সদস্য বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ নাসিমের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ (সোমবার)। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ছিলেন। ২০২০ সালের ১৩ জুন রাজধানী শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন নাসিম।
মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার সকাল ৯টায় পরিবার এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। বেলা ১১টায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের পক্ষ থেকে এক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা বক্তব্য রাখবেন। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এছাড়াও তার জন্মস্থান কাজিপুরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা করা হবে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- প্রয়াতের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা, গরীবদের মধ্যে খাবার বিতরণ।
১৯৪৮ সালের ২ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মোহাম্মদ নাসিম। তার বাবা শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন।
মোহাম্মদ নাসিম জগন্নাথ কলেজ (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পারিবারিক জীবনে তিন সন্তানের জনক ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম। তার স্ত্রীর নাম লায়লা আরজুমান্দ।
মোহাম্মদ নাসিম ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালের সরকারে তিনি স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৪ দলীয় মহাজোটের মুখপাত্র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
এ ছাড়াও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনীতির পাশাপাশি সমাজ কল্যাণমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন তিনি। ঢাকাসহ নিজ এলাকা সিরাজগঞ্জে বেশ কিছু স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন।