বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:৫৫ অপরাহ্ন
আব্দুর রব :: বড়লেখায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে। শনিবারের টানা ও রোববার সকালের ভারি বৃষ্টিতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ২০০ গ্রাম প্লাবিত হয়ে অন্তত দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
২১টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ১০ হাজার দুর্গত মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। দুগর্তদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের তীব্র সংকট।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বড়লেখার বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিন পরিদর্শন করে উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবেলায় জরুরি সভা করেছেন।
তিনি জনদুর্ভোগ লাগবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করেন।
থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদারের নেতৃত্বে রোববার উপজেলার তালিমপুর, বর্নি ও সুজানগর ইউনিয়নের দুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরন করা হয়েছে।
এছাড়া ইউএনও খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. উবায়েদ উল্লাহ খান দুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেছেন।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপসহকারী প্রকৌশলী মঈন উদ্দিন জানান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মওজুদ রয়েছে। প্রায় তিন হাজার ট্যাবলেট বিতরণের জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও নলকুপের প্লাটফর্ম উচুকরণ ও আশ্রয়কেন্দ্রে নলকূপ স্থাপন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
ইউএনও খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী বলেন, বড়লেখায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ও টিলা ধস প্রতিরোধে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পাশাপাশি ২১ টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে দুর্গতের আশ্রয় দেয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাওয়া ত্রাণ সামগ্রিও বিতরণ করা হচ্ছে।