1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০২ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

কমলগঞ্জে ধলাই নদীর ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধে রাত জেগে মেরামত, লাঘাটা নদীর ভাঙ্গনে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২০ জুন, ২০২২
  • ১৬৩ বার পঠিত

জয়নাল আবেদীন :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ধলাই নদীর পানিবৃদ্ধি পেয়ে প্রতিরক্ষা বাঁধের ৯টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। বাঁধ রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় এলাকাবাসী সেচ্ছাশ্রমে রাত জেগে মেরামত করেন। লাঘাটা নদীর বাঁধ ভেঙে নিঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে দু’শতাধিকেরও বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ছে। রবিবার রাতে পতনঊষারের গুপিনগর এলাকায় লাঘাটা নদীর বাঁধ ভেঙে কান্দিগাঁও ও রাদাগবিন্দপুর এলাকায় পানি উঠতে শুরু করছে।

জানা যায়, উপজেলার লক্ষীপুর, করিমপুর, গোপাল নগর, কুশালপুর, ঘোড়া মারা, লংঘরপুর ও গোলের হাওর এলাকায় ধলাই নদীর ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় মেরামতের কাজ চলছে। রহিমপুর ও মুন্সিবাজার ইউনিয়নের করিমপুর ও লক্ষীপুর এলাকায় ধলাই নদীর বেড়িবাঁধ আংশিক ভেঙে গেলে স্থানীয় এলাকাবাসী রাত জেগে মেরামত করায় ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পায় এলাকাবাসী। লাঘাটা নদীর পতনউষার ইউনিয়নের গোপীনগর এলাকায় বাঁধ ভেঙ্গে গ্রামে পানি প্রবেশ করে। ভারী বর্ষন ও উজানের পাহাড়ি ঢলে নিন্মাঞ্চলের শমশেরনগর, পতনঊষার ও মুন্সীবাজার ইউনিয়নের ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে পতনঊষার কেওলার হাওরের আশপাশসহ কয়েকটি এলাকায় দু’শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় এলাকার বানবাসী লোকজন জানান, দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরকে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ সংষ্কার করার জন্য দাবি জানানো হচ্ছে কিন্তু এ বিষয়ে তাঁরা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। লক্ষীপুর এলাকায় সুরঞ্জিত পাল বলেন, ধলাই নদীতে অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তলনের কারণে নদীর বেশকিছু বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।

সাতির মিয়া, আব্দুল মন্নান, হাসিনা বেগম জানান, লাঘাটা নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে হঠাৎ বাঁধ ভেঙে পানি চলে আসে রাস্তা ঘাটে। বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করেও পারা যায়নি। ইউপি সদস্য রিপন ইসলাম ময়নুল বলেন, লাঘাটা নদীর বাঁধ দ্রæত পানি বন্দি লোকজনের মাঝে সরকারি ত্রাণ দেওয়ার প্রয়োজন। পতনঊষার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অলি আহমদ খান বলেন, পানি বন্দিদের নামের তালিকা করা হচ্ছে।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সাকিব হোসেন বলেন, ধলাই নদীর ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ গুলোর মেরামতের কাজ চলছে। এখনো ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন বলেন, উপজেলার বেশকিছু ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজ চলছে। লাঘাটা নদী ভাঙনে লোকজন পানিবন্ধি না হলেও রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে পানি উঠতে শুরু করছে। সরজমিন যাচ্ছি পানির অবস্থা দেখে পানি বন্দিদের নামের তালিকা তৈরি করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে। তাদেরকে দ্রুত ত্রাণ দেওয়া হবে।

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..