1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

স্বপ্নের পদ্মা সেতু : ২১ জেলায় খুলে যাচ্ছে বহুমুখী অর্থনৈতিক দ্বার

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৪ জুন, ২০২২
  • ৩৪৫ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট :: রাত পোহালেই স্বপ্ন পূরণের ঝিলিক দেখা দেবে বরিশাল-ভোলাসহ ২১ জেলার মানুষের মুখে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন দিগন্তের দ্বার উম্মোচন হচ্ছে। খুলে যাচ্ছে বহুমুখী অর্থনৈতিক দ্বার।

সরকারি-বেসরকারি একাধিক কর্মকর্তা ও বিশিষ্টজন জানান, প্রত্যাশিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুটি উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থায় আসবে নতুন দিগন্ত। পাশাপাশি খুলে যাবে এ অঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বহুমুখি অর্থনৈতিক দ্বার। পাল্টে যাবে সামগ্রিক চেহারা। সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের, কমে আসবে বেকার সমস্যা। বদলে যাবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের ভাগ্য। গোটা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের হাতের নাগালে চলে আসবে রাজধানী ঢাকা। যে কারণে বৃহত্তর দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে এখন বইছে আনন্দের জোয়ার। রাজনৈতিক, সামাজিক ও সরকারি-বেসরকারী প্রায় প্রতিটি মানুষের মাঝেই খুশি পদ্মা সেতুর সাফল্যে। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা আগামীকাল ২৫ জুন সকালে স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরদিন তা খুলে দেয়া হবে সর্বসাধারণের যানবাহন চলাচলের জন্য।

বিশিষ্টজনেরা জানান, বরিশাল অঞ্চলের সড়কপথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তনসহ বৃহত্তম দক্ষিণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে বর্তমান সরকার।

এ বিষয়ে বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে বলেন, পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের ফলে সড়কপথে বরিশাল থেকে ৩ ঘণ্টায় যাওয়া যাবে রাজধানী ঢাকা। বদলে যাবে পদ্মার দক্ষিণ পাড়ে থাকা জেলাগুলোর মানুষের ভাগ্য। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন সময়ে একের পর এক সেতু নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে বর্তমানে কেবল পদ্মা সেতু ছাড়া আর কোনো ফেরি নেই ঢাকা-কুয়াকাটা সড়কে। সেই আকাঙ্খিত পদ্মা সেতুও উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আর অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে। সেতুটি উদ্বোধন হলে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা যেতে সময় লাগবে মাত্র ৫ ঘণ্টা।

এ বিষয়ে বরিশাল অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যক্ষ, গবেষক ও সংগঠক তপংকর চক্রবর্তী বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে বৃহত্তর দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা দ্বার উন্মোচন হবে।

ভোলা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার মো. দোস্ত মাহমুদ ও সাংবাদিক অচিন্ত মজুমদার বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলে বরিশালসহ ভোলা জেলার মানুষ সব থেকে বেশি উপকৃত হবেন। কারণ দ্বীপজেলা ভোলায় একাধিক পর্যটন কেন্দ্র ও গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। সৃষ্টি হবে নতুন কর্মসংস্থানের, কমবে বেকার সমস্যা। কৃষিজাত পণ্য সরবরাহে খুলে যাবে নতুন দিগন্ত।

এ প্রসঙ্গে আলাকালে ভোলা জেলার কৃতিসন্তান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগর উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলে বরিশালসহ দ্বীপ জেলা ভোলার অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়ন আরো একধাপ এগিয়ে যাবে। আরও সহজ হবে রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ। ফলে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতির চাকা ঘোরার পাশাপাশি বাড়বে কর্মসংস্থান। দ্বীপজেলা ভোলা হবে দেশের অন্যতম শক্তিশালী অর্থনৈতিক জেলা। পাশাপাশি পর্যটনশিল্পেও আনবে অপার সম্ভাবনা।

তিনি আরও বলেন, দেশি এবং আর্šÍজাতিক সব ষড়যন্ত্র ভেদ করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প যেভাবে বাস্তবায়ন করেছেন তা ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে উজ্জল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

এ বিষয়ে বরিশাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, প্রত্যাশিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলে বৃহত্তম বরিশাল অঞ্চলের খেটে খাওয়া প্রান্তিক কর্মসংস্থানের সুযোগসহ জেলার ব্যবসা-বাণিজ্যে গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে পায়রা বন্দরের গুরুত্ব আরও বাড়বে।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলে বরিশলের হিমায়িত মৎস্য, কাঁচা সবজিসহ সকল ধরনের রপ্তানীযোগ্য পণ্য থেকে আয় বাড়বে। পাশাপাশি কমে যাবে পণ্য পরিবহনের খরচ।

পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে আলাপকালে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, সকল প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে নিজস্ব অর্থ্যাায়নে এই পদ্মা সেতু নির্মাণ বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, দূরদর্শীতা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারনেই সম্ভব হয়েছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু একটি উন্নয়নের মাইল ফলক যা ভবিষ্যত প্রজন্মসহ দেশের মানুষের কাছে নতুন প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। একই সাথে এই সেতু যতদিন থাকবে তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অমর কীর্তিরূপে গৌরব বহন করবে। এই সেতুটি উদ্বোধন হলে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল করবে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..