1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০২:৪১ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

বিএনপি নেতাদের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দেওয়া দরকার : প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১ আগস্ট, ২০২২
  • ১৬৫ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন দেশে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা হচ্ছে। তার মানে এই নয় যে, এখান থেকে লুটপাট করা হচ্ছে। এক সময় বিএনপি নেতারা হারিকেন নিয়ে আন্দোলন করতো। এখন তাদের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দেওয়া দরকার। তাদের হাতে হারিকেনই থাকুক, দেশের মানুষকে নিরাপদে রাখবে আওয়ামী লীগ।

সোমবার (১ আগস্ট) শোকাবহ আগস্ট মাস উপলক্ষে কৃষক লীগের কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ‌্যমে তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

এসময় নেতাকর্মীদের রক্তদানে উৎসাহিত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জাতির পিতার আদর্শের প্রতিটি নেতাকর্মী মানুষের সেবায় সব সময় পাশে থাকবে নিবেদিত প্রাণ হয়ে।

জনসংখ্যা নিয়ে সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের জনসংখ্যা এখন সাড়ে ১৬ কোটি। এই জনসংখ্যার হিসেবও কারো কারো পছন্দ হয় না। কেন? তাহলে তারা নিজেরাই সন্তান জন্ম দিক, আমরা খাবার দেবো। আমরা চাই, প্রতিটি পরিবার সুখী সমৃদ্ধ হবে। আমরা সে কাজটি করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারো এক ইঞ্চি জমি যেন খালি না থাকে। সকলে কাজ করবে। যেখানে যত খালি যায়গা, সেখানে উৎপানের কাজ করবে। আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকেও এটি করতে হবে। পাশাপাশি দেশের মানুষকে এই কাজে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, জাতির পিতার হত্যার পর দেশের কী উন্নতি হয়েছে? চলে গেলো মার্শাল ল’তে। ক্ষমতা দখল করে কুক্ষিগত করা হলো। তারা ক্ষমতায় এসে পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করে। ইনডেমনিটি দেয়। জাতির পিতার খুনীদের রক্ষা করে। যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় নিয়ে আসে। স্বাধীনতার চেতনা থেকে দেশকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সব আয়োজন করলো। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাদের চোর ডাকাত বানালো। দেশের মানুষ কী পেলো?

শেখ হাসিনা বলেন, প্রকৃত গণতন্ত্র থাকলে দেশের যে উন্নতি হয়, এটা আজ প্রমাণিত। আওয়ামী লীগ সেটা প্রমাণ করে দিয়েছে। ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ অবকাঠামো উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবায় কমিউনিটি ক্লিনিক করে দেওয়াসহ নানা কাজ করেছি। বলতে গেলে ৯৬ থেকে ২০০১ সমৃদ্ধির সময় ছিল বাংলাদেশের। পরে তারা এসে কী করলো? ভিক্ষাবৃত্তি বা দেশকে পরনির্ভরশীল করেছে। দুর্নীতি, খুন খারাবি আর লুটপাট ছিল স্বাভাবিক চিত্র। ভোটের অধিকারই ছিল না মানুষের। বিএনপির সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ব্যালট ছিনিয়ে নিয়েছে। তাদের কাছ থেকেও কথা শুনতে হয়, নির্বাচনের কথা তারা বলে কোন মুখে?

তিনি বলেন, জাতির পিতাকে হত্যা করে দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছিল। ভবিষ্যতে যেন আর কেউ এমন ছিনিমিনি খেলতে না পারে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙালির ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেই কালরাতে গোটা বাঙালি জাতিকে কলঙ্কিত করেছিল সেনাবাহিনীর উচ্ছৃঙ্খল কিছু বিপথগামী সদস্য। ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কের ঐতিহাসিক ভবনে ঘাতকের নির্মম বুলেট বিদ্ধ করে শহিদ হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ঘাতকের হাতে সেই রাতে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল, রোজী জামাল, ভাই শেখ নাসের, কর্নেল জামিল, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, শিশু বাবু, আরিফ রিন্টু খানসহ অনেকে। ওই সময় দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আগেও এখনকার মতো অপপ্রচার চালিয়েছিল ঘাতকের দল। বঙ্গবন্ধুর খুনি ছিলেন মোশতাক। আর সহযোগী ছিলেন জিয়াউর রহমান।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ১৫ আগস্ট একই সাথে হত্যা করা হয় আমার মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে, যিনি জীবনের সব চাওয়া-পাওয়ার ঊর্ধ্বে উঠে সারা জীবন স্বামীর পাশে থেকে তাকে প্রেরণা দিয়েছেন। সংসারের সকল দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন, আমার বাবার অবর্তমানে সংগঠন পরিচালনা করেছেন, আন্দোলন-সংগ্রাম পরিচালনা করেছেন। তাকেও ঘাতকের দল নির্মমভাবে হত্যা করে। আমার ছোট তিন ভাই… ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, মুক্তিযোদ্ধা, কামালের নববধূ সুলতানা কামাল। আরেক ভাই মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, শেখ জামালের স্ত্রী পারভীন জামান রোজি… ছোট্ট রাসেল ১০ বছরের, তাকেও নির্মমভাবে হত্যা করে। আমি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট আমি আর রেহানা বিদেশে ছিলাম। তাই হয়তো ঘাতকের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিলাম। সেই বাঁচাটা যে কী কষ্টের বাঁচা। বিদেশের মাটিতে রেফুজি হিসেবেই থাকতে হয়েছিল। নিজেদের নাম পরিচয়টাও দিতে পারিনি, সেটা নিরাপত্তার কারণে। যে দেশে ছিলাম তাদেরই অনুরোধে। নামই গোপন করতে হয়েছিল।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ, আমাদের বিজয়। একজন মানুষ তার জীবনের সব কিছু ত্যাগ করে একটি জাতির জন্য কতো আত্মত্যাগ করতে পারে। আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কলকাতায় পড়াশোনা করেছেন। আমার দাদা তার পড়াশোনার খরচ দিয়েছেন। সেখানে থেকে রাজনীতি করেছেন। হয়তো তিনি বড় চাকরি করতে পারতেন। কিন্তু সেদিকে এতটুকু তার মন ছিল না। মন ছিল বাংলাদেশের মানুষের প্রতি।

অনুষ্ঠানে বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি তাদের শাসনামলে দেশে খাদ্যের ঘাটতি তৈরি করেছিল। এই ঘাটতির কারণে খাদ্য আমদানির প্রয়োজন পড়ত। আর আমদানি করতে গিয়ে বিএনপি কমিশন খেত।

সরকারপ্রধান বলেন, ২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করি, তখন দেশে খাদ্য ঘাটতি পাই। দেশে খাদ্য ঘাটতি রেখে বাঙালি জাতিকে ভিক্ষুক হিসেবে বিশ্ব পরিচয় করানো এবং ভিক্ষা চেয়ে নিয়ে আসে বিএনপি। আসলেই ভিক্ষা চাওয়া না, এটাও একটা ব্যবসা। খাদ্য কিনবে, ব্যবসা করবে এবং কমিশন খাবে। এটাই করেছিল বিএনপি।

শেখ হাসিনা বলেন, অস্ত্র, চোরাকারবারির সঙ্গে তারা সম্পূর্ণ জড়িত। এটাতো বিএনপির এক নেতা বক্তব্যে আছে। গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে ওই সমস্ত কাজ করানো হত। সেই ১০ ট্রাক অস্ত্র ধরা পড়েছে, একটা চালান ধরা পড়েছে। এরকম কত চালান এদেশে এসেছে এবং গেছে!

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, দেশকে সম্পূর্ণ পরনির্ভরশীল করে দেশের মানুষের নিরাপত্তা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেওয়া, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস সৃষ্টি করা, পাঁচবার দুর্নীতিতে এক নাম্বারে ছিল, দুর্নীতি-সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, খুন-খারাবি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি, মেধাবী ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া এবং তাদেরকে লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা, শিক্ষার সম্পূর্ণ পরিবেশ ধ্বংস করা, সাক্ষরতার হার আবার কমিয়ে সেই ৪৫ থেকে ৫০ ভাগের নামিয়ে নিয়ে আসা। এইতো বিএনপি দিয়েছিল।

কৃষকলীগের সভাপতি সমীর চন্দের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতির সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী ও ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..