1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

ডিজেলের লিটার ১১৪ অকটেন ১৩৫ পেট্রল ১৩০ টাকা

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০২২
  • ১৩৭ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট :: ডলার-সংকট ও বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে দেশে জ্বালানি তেলের দাম লিটারপ্রতি ৩৪ থেকে ৪৬ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হয়েছে। এখন ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের খুচরা মূল্য হবে প্রতি লিটার ১১৪ টাকা, পেট্রল ১৩০ ও অকটেন ১৩৫ টাকা।

নতুন দামে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৮০ টাকা থেকে ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। একইভাবে পেট্রলের দাম ৮৬ টাকা থেকে ৫১ দশমিক ১৬ এবং অকটেনের দাম ৮৯ টাকা থেকে ৫১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। গতকাল রাতে বিদ্যুৎ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

আগে ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য ছিল প্রতি লিটার ডিজেল ৮০ টাকা, কেরোসিন ৮০ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা ও পেট্রল ৮৬ টাকা।

শুক্রবার রাত ১২টার পর এ দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে ভোক্তা পর্যায়ে এ খুচরা মূল্য বহাল থাকবে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, বৈশ্বিক বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ার কারণে বাংলাদেশ প্রেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি), ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে (ইআরএল) পরিশোধিত এবং আমদানি করা ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোলের মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ৪ নভেম্বর থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৬৫ থেকে ৮০ টাকা করে সরকার। তবে অকটেন ও পেট্রোলের দাম অপরিবর্তিত ছিল।

এদিকে গতকাল রাতে আরেকটি সরকারি সূত্র আভাস দিয়েছে, জ্বালানি তেলের পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। যদিও সরকার এই মূল্যবৃদ্ধিকে সমন্বয় হিসেবে দেখাতে চাইছে।

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কথা প্রচারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গতকাল রাত ১২টার আগেই রাজধানীর বিভিন্ন পাম্পে তেল বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে তেল কিনতে আসা যানবাহন-চালকেরা বিপাকে পড়েন। তেল না পেয়ে তাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। কয়েকটি পাম্পে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, পিকআপসহ বিভিন্ন যানবাহন-চালকদের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে।

যা বললেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ব্যাপারে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের বলেন, যত দিন সম্ভব ছিল, তত দিন সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানোর চিন্তা করেনি। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকটা নিরুপায় হয়েই কিছুটা সমন্বয় করতে হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জ্বালানি তেলের মূল্য পুনর্বিবেচনা করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী গতকাল দাম বাড়ার আগে রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাসভবনে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ার কারণে বিপিসির (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন) ইতিমধ্যে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি লোকসান হয়েছে। এর পরিমাণটা বেশ বড়, তাই বিশ্ববাজারের সঙ্গে জ্বালানি তেলের একটা সমন্বয় থাকা উচিত।’ তেলের দাম বাড়ালে যে নেতিবাচক প্রভাব জনগণের ওপর পড়ে, সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটার সরাসরি প্রভাব পড়ে জনগণের ওপর। ডিজেল, পেট্রল, অকটেন—এগুলো যেন একটা সহনীয় পর্যায়ে থাকে, সেই চিন্তা করে আমরা একটা সমন্বয়ে যাব।’

জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে কৃষি উৎপাদন ও যাতায়াত ভাড়ায় কী প্রভাব পড়বে, জানতে চাওয়া হলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম বাড়লেও কৃষি খাতে দাম অপরিবর্তিত রাখার চিন্তা করছে সরকার। কৃষিতে ব্যবহৃত ডিজেলে সরকার ভর্তুকি দিয়ে যাবে। সবচেয়ে বেশি তেল ব্যবহৃত হয় পরিবহন খাতে। আমরা হিসাব করে দেখতে পাচ্ছি, ডিজেলের দাম বাড়লে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়ে ১ থেকে ২ টাকা। এ জন্য আমরা বিআরটিএ, বিআইডব্লিউটিএ, পরিবহন মালিক সমিতি, ট্রাক মালিক সমিতি—সবার সঙ্গে বসে আলোচনা করে ঠিক করার চিন্তা করছি।’

জ্বালানি বিভাগ জানিয়েছে, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের ঊর্ধ্বগতির কারণে পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিভিন্ন দেশে নিয়মিত তেলের মূল্য সমন্বয় করে থাকে। ভারত গত ২২ মে থেকে কলকাতায় ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটার ৯২ দশমিক ৭৬ রুপি এবং পেট্রোল লিটার প্রতি ১০৬ দশমিক ০৩ রুপি নির্ধারণ করেছে, যা এখন পর্যন্ত বিদ্যমান আছে। এই মূল্য বাংলাদেশি টাকায় যথাক্রমে ১১৪ দশমিক ০৯ টাকা এবং ১৩০দশমিক ৪২ টাকা (১ রুপি= গড় ১ দশমিক ২৩ টাকা)। অর্থাৎ বাংলাদেশে কলকাতার তুলনায় ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ৩৪ দশমিক ০৯ এবং পেট্রোল লিটার প্রতি ৪৪ দশমিক ৪২ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছিল। মূল্য কম থাকায় তেল পাচার হওয়ার আশঙ্কা থেকেও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়া সময়ের দাবি।

বিপিসির তথ্য অনুযায়ী, জ্বালানি তেলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় ডিজেল, যা মোট জ্বালানির ৭৩ শতাংশ। গত বছরের নভেম্বরে ডিজেলের দাম ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়। বিপিসি বলছে, প্রতি ব্যারেল ডিজেল গত বছরের ডিসেম্বর মাসে কেনা হয়েছে ৮৩-৮৬ মার্কিন ডলারে, এখন কিনতে হচ্ছে ১৭৩-১৭৫ মার্কিন ডলারে। প্রতি লিটারে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে গড়ে ৫৫ টাকা। প্রতি লিটার অকটেনে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে প্রায় ৩৫ টাকা। সম্প্রতি বিপিসির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ বলেন, বিপিসি যেভাবে ভর্তুকি দিচ্ছে, তাতে প্রতিষ্ঠানটির দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

https://drive.google.com/file/d/1jlxsv2pfssGuGoJAUDooroBl0Obo1FIc/view

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..