1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

বঙ্গমাতার আত্মত্যাগ বিশ্বের সব নারীর জন্য দৃষ্টান্ত : প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০২২
  • ১৪৮ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট : বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসার আত্মত্যাগ বিশ্বের সব নারীর জন্য দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ রোববার (৭ আগস্ট) সকালে ঢাকা বিশ্ববদ্যালয়ের সিনেট ভবনে বঙ্গমাতার অবদান নিয়ে আয়োজিত এক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন তিনি।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসার মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বঙ্গমাতা : এ প্যারাগন অব উইমেনস লিডারশিপ অ্যান্ড ন্যাশন বিল্ডিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সম্মেলনের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে বঙ্গমাতা যেভাবে সাহস জুগিয়েছেন তা সব নারীর জন্য অনুকরণীয়। জাতীয় জীবনে বঙ্গবন্ধুর অবদান রচিত হলেও বঙ্গমাতার আত্মত্যাগ জানা যায় খুবই কম।

তিনি বলেন, আপনারা আজকে যে সুযোগটা দিয়েছেন এবং জেন্ডার সমতার কথা বলেছেন, আমার বাবার পাশে থেকে থেকে যেভাবে তিনি (বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব) সাহস দেখিয়েছেন আমি মনে করি আমাদের দেশের মেয়েরা শুধু না পৃথিবীর অনেক মেয়েরাই তার জীবনের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করতে পারবে। যে একজন মানুষ তার জীবনের সব কিছু ত্যাগ করেছেন একটি জাতির স্বাধীনতার জন্য, একটি দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য।

শোষিত বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশে সব সংগ্রামে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সব সময় সহযোগিতা করতেন জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, মার জীবনে কোন চাওয়া পাওয়া ছিল না। তিনি নিজের জন্য কোনদিন কিছু চাননি। আমরা শুনিনি আমার আম্মা কোন আবদার করেছেন। তার নিজের যেটুকু ছিল সবই তিনি বিলিয়ে দিতেন। দলের জন্য, মানুষের জন্য, গরিব আত্মীয় পরিবার-পরিজনের জন্য।

১৫ আগস্টের নির্মমতা এবং বঙ্গমাতার সাহসিকতা ও ত্যাগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, যখন আমার আব্বাকে গুলি করলো আমার মা কিন্তু জীবন ভিক্ষা চাননি। এ পরিস্থিতিতে সাধারণত মানুষ নিজের জীবন ভিক্ষা চায়। আমার মা ভিক্ষা চাননি। মা সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, উনাকে যখন হত্যা করেছো আমাকেও হত্যা করো। তখন ঘাতকের বুলেট তাকে কেড়ে নেয়।

তিনি বলেন, ঘাতক করা? এরা তো আমাদের বাসায় অহরহ যেত। আমার মা সবাইকে আপ্যায়ন করতো। অথচ তারা ঘাতক হয়ে আসলো।

বঙ্গমাতার রাজনৈতিক দুরদর্শীতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংসারের ব্যাপারে, রাজনীতির ব্যাপারে প্রতিটি ব্যাপারে তিনি যে সিদ্ধান্ত যখন দিয়েছেন সেটা যে আমাদের দেশের জন্য কত সঠিক আর শেষ পর্যন্ত নিজের জীবনটাও দিয়ে গেলেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক সেলিনা হোসেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন অডিটরিয়াম প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ।

বঙ্গমাতার অবদান ও জীবন দর্শন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ থেকে শুরু হয়েছে ২ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনটি। ঢাবির সিনেট ভবনে আয়োজিত এ সম্মেলনে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বক্তা আলোচনা করবেন।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..