1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪৭ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

অবিলম্বে চা-শ্রমিকদের জন্য বাজারদরের সাথে সংগতিপূর্ণ মজুরি বৃদ্ধি করার দাবি জানিয়েছে ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২২
  • ১৫৫ বার পঠিত

স্টাফ রিপোর্টার :: চা-শ্রমিকদের চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে অবিলম্বে বর্তমান বাজারদরের সাথে সংগতিপূর্ণ মজুরি বৃদ্ধি করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনয়িন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটি। ১৩ আগষ্ট বাংলাদেশ ট্রেড ইউনয়িন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটি সভাপতি মোঃ নুরুল মোহাইমীন ও সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস গণমাধ্যমে প্রেরিত এক যুক্তবিবৃতিতে দেশের সবচেয়ে নিষ্পেষিত ও অবহেলিত শ্রমিক হিসেবে চা-শ্রমিকদের আখ্যায়িত করে বলেন বর্তমান দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতির বাজারে একজন চা-শ্রমিক সর্বোচ্চ দৈনিক ১২০ টাকা মজুরি পান। এই মজুরি দিয়ে বর্তমান বাজারে ১ লিটার তেলও পাওয়া যায় না, এমন কি চা-শ্রমিকদের উৎপাদিত ২৫০ গ্রাম চা-পাতার মূল্যও খোলা বাজারে এর থেকে বেশি। নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন চা-শিল্পের ১৬৮ বছরের ইতিহাসে চা-শ্রমিকদের মজুরি ১৬৮ টাকাও হয়নি। অথচ শ্রমিকদের হাড়ভাঙ্গার পরিশ্রমের ফলশ্রæতিতে চা-উৎপাদনে বাংলাদেশ ৯ম স্থানে উঠে এসেছে। এমনকি করোনাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চা-শ্রমিকরা উৎপাদনে সক্রিয় থাকায় ২০২১ সালে দেশে ৯৬ দশমিক ৫০৬ মিলিয়ন কেজি চা-উৎপাদনের ফলে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়। ফলশ্রæতিতে মালিকদের মুনাফা এবং সাহেব-বাবুদের সুযোগ-সুবিধা বাড়লেও দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতির এই সময়ে শ্রমিকদেরকে দেওয়া হচ্ছে দৈনিক মাত্র ১২০ টাকা। মালিকদের চুক্তি অনুযায়ী যে মজুরির মেয়াদ ২০২০ সালের ডিসেম্বরে উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। চুক্তি অনুযায়ী ২০২১ সালে ১ জানুয়ারি হতে চা-শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করা কথা, কিন্তু চুক্তির মেয়াদ প্রায় ২০ মাস অতিক্রান্ত হতে চললেও চা-শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করা হচ্ছে না। নেতৃবৃন্দ এর জন্য মালিকদের অতিমাত্রায় শোষণমূলক প্রবৃত্তি ও চা-শ্রমিক ইউনিয়নের আপোসকামিতাকে দায়ী করেন। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের বাজারে দৈনিক তিন বেলা অতি সাধারণভাবে আহারের জন্য ১৫০(৩০+৬০+৬০) টাকায় যেখানে পেট ভরে না, সেখানে চা-শ্রমিক ইউনিয়ন দাবিই করেছে মাত্র ৩০০ টাকা। অথচ প্রতিবেশি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চা-শ্রমিকরা দৈনিক ২৩২ রুপি(২৭৭ টাকা) পেয়েও মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করছেন। চা-বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী দেশের ১৬৭ টি চা-বাগানে ৫ লক্ষাধিক চা-জনগোষ্টির মধ্যে স্থায়ী শ্রমিক প্রায় ১ লাখ, সেই একজন শ্রমিকের মজুরির উপর কমপক্ষে ৫ জনকে ভরনপোষণ করতে হয়। বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে ৩০০ টাকা মজুরি পেলেও তো সেটা সম্ভব না। অথচ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা মজুরি ২০ টাকা বৃদ্ধিতে দৈনিক সর্বোচ্চ ১৪০ টাকা হলেই মালিকপক্ষের সাথে চুক্তি সম্পাদন করবেন বলে জোর গুঞ্জন আছে। যেখানে সরকার দলীয় এমপি উপাধক্ষ্য ড. আব্দুশ শহীদ একাধিকবার জাতীয় সংসদে চা-শ্রমিকদের জন্য কমপক্ষে ৫০০ টাকা মজুরির পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন, সেখানে চা-শ্রমিক ইউনিয়নের এই ভ‚মিকা প্রশ্নসাপেক্ষ। প্রতিবেশি ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপালসহ শীর্ষ চা উৎপাদনকারী দেশ চীন ও কেনিয়ার চেয়ে আমাদের দেশের চা-শ্রমিকদের মজুরি অনেক কম। আমাদের দেশের সরকার কথায় কথায় উন্নয়নের ফিরিস্তি দিয়ে বলে থাকেন বিভিন্ন অর্থনৈতিক সূচকে প্রতিবেশিদের থেকে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে। সরকারি তথ্য মতে দেশে মাথাপিছু আয় ২,৮২৪ ডলার অর্থাৎ ২ লাখ ৬৮ হাজার ২৮০টাকা (১ ডলার =৯৫ টাকা হিসেবে); সেখানে চা-শ্রমিকদের সর্বোচ্চ আয় মাসিক ৩,৬০০ টাকা হিসেবে বার্ষিক মাত্র ৪৩,২০০ টাকা। নেতৃবৃন্দ বর্তমান বাজারদরের সাথে সংগতিপূর্ণভাবে ৬/৭ জনের পরিবারের ভরণপোষণের জন্য দৈনিক ৬৭০ টাকা মজুরিসহ চা-শিল্পে নৈমিত্তিক ছুটি(বছরে ১০ দিন) কার্যকর ও অর্জিত ছুটি প্রদানে বৈষম্যসহ শ্রমআইনের বৈষম্য নিরসন করে গণতান্ত্রিক শ্রমআইন প্রণয়ন এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মজুরি ও উৎসব বোনাস প্রদানে সকল অনিয়ম বন্ধ করে শ্রমআইন মোতাবেক নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিসবুক প্রদান এবং ৯০ দিন কাজ করলেই সকল শ্রমিককে স্থায়ী করার দাবি জানান। একই সাথে নেতৃবৃন্দ আন্দোলনকারী চা-শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ থেকে সকল ধরনের আপোসকামিতা ও ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বিরুদ্ধে সজাগ, সচেতন থেকে ন্যায্য মজুরি ও দাবি আদায়ে অনড় থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..