শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২১ পূর্বাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক : ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়ার কাছ থেকে ভারতের তেল কেনার বিষয়টি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কিছুটা হলেও সহজভাবে গৃহীত হয়েছে মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, নয়াদিল্লি তার সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনো পক্ষ সমর্থন করার পরিবর্তে অন্যান্য দেশকে দেখিয়েছে ভারত কীভাবে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ।
‘খুব খোলাখুলি ও সততার সঙ্গে কোনো বিষয় তুলে ধরলে মানুষ তা গ্রহণ করবে,’ বলেন তিনি।
‘সবসময় যে বিষয়টি গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করবে, তা নয়। কিন্তু একবার সেটি ঘটার পর যদি আপনি খুব বেশি চালাক সাজার চেষ্টা না করে সরাসরি নিজের আগ্রহ প্রকাশ করেন, সেক্ষেত্রে বিশ্ব এক বাস্তবতা হিসেবেই বিষয়টিকে গ্রহণ করবে,’ ব্যাংককে ভারতীয়দের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয় নিয়ে কাজ করতে হয় এমন একজন কূটনীতিক হিসেবে জয়শঙ্কর বলেন, ‘শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ তারা সবাই জানে যে আমাদের অবস্থান কী এবং সেটা মেনে নিয়েই তারা সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে চলেছে’।
রাশিয়া থেকে ইউরোপ তেল কেনা কমানোয় ভারতের অনেক সরবরাহকারী তাদের সরবরাহ ইউরোপে সরিয়ে নিয়েছে।
‘তেলের দাম অযৌক্তিক রকমের বেশি, এমনকি গ্যাসের দামও। এশিয়ার অনেক নিয়মিত সরবরাহকারী এখন ইউরোপে জ্বালানি সররাহ সরিয়ে নিয়েছে। এটা এমন এক পরিস্থিতি যখন সব দেশই তাদের নাগরিকদের জন্য সবচেয়ে সেরা চুক্তিটি করার চেষ্টা করছে যাতে জ্বালানির উচ্চমূল্যের প্রভাব প্রশমিত করা যায়। আমরাও ঠিক তাই করছি,’ বলেন জয়শঙ্কর।
‘আমরা এর জন্য কারও পক্ষ সমর্থন করছি না। আমরা বেশ খোলামেলা এবং আমাদের উদ্দেশ্যও সৎ। আমার দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় দুই হাজার ডলার। তাদের পক্ষে এত বেশি দামে জ্বালানি তেল কেনা সম্ভব না। তাদের জন্য সেরা চুক্তি এনে দিতে আমি দায়বদ্ধ, এটা আমার নৈতিক দায়িত্ব,’ বলেন তিনি।
ভারতে রাশিয়ার তেল কেনা নিয়ে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এসব কথা জানান।
থাইল্যান্ডের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে ৯ম ভারত-থাইল্যান্ড যৌথ কমিশনের বৈঠকে যোগ দিতে মঙ্গলবার থাইল্যান্ডে যান এস জয়শঙ্কর। সভা শেষে তিনি সেখানে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করবেন।