শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৬:৪৬ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতকি ডেস্ক :: পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যার তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়ায় নতুন করে আরও ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে বন্যায় দেশটিতে প্রাণহানির সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে চলমান অবিরাম বৃষ্টিপাতকে ‘জলবায়ু-প্রবর্তিত মহাকাব্যিক মানবিক সংকট’ বলে অভিহিত করে পাকিস্তান সরকার বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) আনুষ্ঠানিকভাবে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেছে।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ডনের খবরে বলা হয়েছে, বন্যায় পাকিস্তানের অর্ধেকের বেশি ডুবে গেছে। এতে দুর্দশায় পড়েছে দেশটির লাখ লাখ মানুষ। দেশটির জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, বন্যায় দেশটিতে ১ হাজার ৪৫০ জনের বেশি আহত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৮ লাখ ২ হাজার ৫৮৩ গৃহপালিত প্রাণীর। একই সঙ্গে আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৮৩৩ জন।
দেশটির ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এনডিএমএ) অনুসারে, বন্যায় জুনের মাঝামাঝি থেকে ৩৪৩ জন শিশুসহ অন্তত ৯৩৭ জন মারা গেছে। বেলুচিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশের বিশাল অংশ ডুবে আছে। ভয়াবহ এই বন্যা দেশটিতে ২০১০ সালের বিধ্বংসী বন্যার স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেলুচিস্তান প্রদেশে ২৩৪ জন ও দক্ষিণ সিন্ধু প্রদেশে ৩০৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এ ছাড়া এই দুই প্রদেশে ১০ লাখেরও বেশি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বন্যার কারণে যুক্তরাজ্যে তার সরকারি সফর স্থগিত করেছেন। তিনি কয়েক দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে তহবিলের জন্য আবেদন করেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বলেছেন, পাঞ্জাব সরকার ডেরা গাজি খানে সেনা মোতায়েনের অনুরোধ করেছে। বেলুচিস্তানে নাসিরাবাদ, ঝাল মাগসি, সোহবাতপুর, জাফরাবাদ ও লাসবেলা জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।