শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : গতকাল রবিবার ভারতের নয়ডার সেক্টর ৯৩এ চত্বরে মাটির সঙ্গে মিশে গেল যমজ ভবন। ১০ বছরে নির্মাণ করা জোড়া ভবন মাত্র ৯ সেকেন্ডেই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এই প্রথম নয়, পৃথিবীর বুকে এমন অনেক বহুতল ভবন ছিল, যেগুলোকে নিমেষের মধ্যেই ধূলিসাৎ করা হয়েছে।
২০০৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে ‘ওশান টাওয়ার’ নামে একটি বিলাসবহুল আবাসন তৈরির পরিকল্পনা করা হয়।
ঠিক দুই বছর পর নির্মাণের কাজ চলা অবস্থায় ৩১ তলার এই বহুতলে ফাটল দেখা দেয়।
মাটির নীচে প্রায় ১৪ ইঞ্চির মতো অংশ ধসেও পড়ে। এর ফলে বহুতল ভবনটি এক দিকে হেলে যায়। সে কারণে ওশান টাওয়ার ‘লিনিং টাওয়ার অব সাউথ পাদ্রে’ নামেও পরিচিত।
পুনর্নিমাণ করতে হলে তার খরচ প্রচুর। সব ভেবেই ২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাসে বহুতল ভবনটি বিস্ফোরণের মাধ্যমে ধ্বংস করে দেওয়া হয়।
১৯৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির আটলান্টিক সিটিতে তৈরি করা হয় ‘দ্য ট্রাম্প প্লাজা’। হোটেল ও ক্যাসিনো হিসেবে ৩৪ তলার এই বহুতল ভবনটি বিশেষ পরিচিত ছিল।
কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই হোটেল এবং ক্যাসিনোর ব্যবসার ক্ষতি হতে থাকে। প্রায় চার দশক পর ২০২১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি এই বহুতল ভবনটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মোট তিন হাজার ডিনামাইট স্টিক ব্যবহার করে ২০ সেকেন্ড সময়ের মধ্যে এই বহুতলটি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়।
জার্মানিতে ‘দ্য এএফই টাওয়ার’ নামের বহুতল ভবনটি ১৯৭০ সালে তৈরি করা হয়েছিল। তা জোহান ভল্ফগ্যাঙ্গ গ্যেটে ইউনিভার্সিটির অংশ ছিল।
৩৮ তলা ভবনটি ১১৬ মিটার উঁচু ছিল। ২০১৪ সালে মোট ৯৫০ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করে এই বহুতলটি ভেঙে ফেলা হয়। ১০ সেকেন্ডের মধ্যে ৩৮ তলার ওই ভবন ভেঙে পড়ে।
১৬৫ মিটার উঁচু দুবাইয়ের ‘দ্য মিনি প্লাজা’ নির্মাণের কাজ ২০০৭ সালে শুরু হয়। ১৪৪ তলা এবং চারটি টাওয়ার তৈরি করার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এই জায়গায় অন্য কিছু তৈরি করা হবে।
নির্মাণের কাজ অসম্পূর্ণ থাকাকালীনই ২০২০ সালের নভেম্বরে ছয় হাজার কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করে প্রায় ১০ সেকেন্ডের মধ্যে বহুতলটি ভেঙে ফেলা হয়।
৩৮৭ মিটার উঁচু ‘দ্য গোল্ডেন ফ্লাওয়ার বিল্ডিং’টি চীনের উচ্চতম বহুতলগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল। শি’য়ান সিটিতে অবস্থিত ওই বহুতল নির্মাণের কাজ শেষ হয় ১৯৯৯ সালে।
২৬ তলার ওই নির্মাণটি বহু বছর কোনো কাজেই ব্যবহার করা হয়নি। ১৬ বছর ফাঁকা অবস্থায় পড়ে থাকায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এই গগনচুম্বী ভবন ভেঙে ফেলা হবে।
২০১৭ সালে ১২৭০ কেজি ওজনের ডিনামাইট এবং ১২ হাজার ডেটোনেটর ব্যবহার করে ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে এই বহুতলকে ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া হয়।