1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

পরাজিত নায়িকারা রাজনীতি ছেড়ে দেবেন?

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১০ মে, ২০২১
  • ২৪৩ বার পঠিত

বিনোদন ডেস্ক : টানা তৃতীয়বারের মতো পশ্চিমবঙ্গে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবারের নির্বাচনে বিজেপি ও তৃণমূলের হয়ে টলিউডের একঝাঁক অভিনয়শিল্পী অংশ নিয়েছিলেন। এ তালিকার কেউ কেউ বিজয়ের হাসি হেসেছেন, তবে যারা পরাজিত হয়েছেন তাদের মধ্যে নায়িকাদের সংখ্যা কম নয়। রাজনীতির ময়দানে নতুন এসব নারী প্রার্থী শেষ পর্যন্ত বিজয়ের আশা বুকে বেঁধেছিলেন। কিন্তু ভাগ্যদেবী সহায় হননি।

ভোটের আগে বিজেপি শিবিরে যোগ দেন চারজন তারকাপ্রার্থী। তারা হলেন—শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি, পায়েল সরকার, যশ দাশগুপ্ত এবং তনুশ্রী চক্রবর্তী। পরাজয়ের পর তাদের নিয়ে চলছে জোর জল্পনা। এই দলে আছেন পার্নো মিত্রও। তবে তিনি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরেই এই শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন। তৃণমূল শিবিরে পরাজিত হয়েছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, কৌশানী মুখোপাধ্যায় এবং সায়নী ঘোষ। তৃণমূল সমর্থক হলেও ভোটের আগে দলে নাম লেখিয়ে কিছুটা নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করেন সায়ন্তিকা, কৌশানী। এখন প্রশ্ন উঠেছে, ভোটে পরাজিত হওয়ার কারণে কী এসব নায়িকা রাজনীতির ময়দান ছেড়ে দেবেন? নাকি রাজনীতিতে আরো বেশি সক্রিয় হবেন?

২০১৯ সালে বিজেপিতে নাম লেখালেও, রূপাঞ্জনা মিত্র বা রূপা ভট্টাচার্যের মতো সোশ্যাল মিডিয়া সরগরম রাখেননি পার্নো মিত্র। তাই তার রাজনৈতিক কার্যকলাপও থাকে খানিকটা আড়ালে। বরাহনগর কেন্দ্রে হারের পরে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। ২০১৯ সাল থেকে দলে রয়েছি। আগামী দিনে দল যে কাজ দেবে, তা করব। এলাকার মানুষ যে কোনো বিপদে আমাকে পাশে পাবেন।’ কোভিড থেকে সদ্য সেরে ওঠা পার্নো করোনা মোকাবিলায়ও কাজ করছেন। কিন্তু সোস্যাল মিডিয়ায় এসব জানাতে নারাজ এই অভিনেত্রী।

শ্যামপুর কেন্দ্র থেকে পরাজিত বিজেপি প্রার্থী তনুশ্রী চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘লড়াই শেষ নয়, এবার শুরু হবে। তবে মন খারাপ হয়েছে। কারণ আমি ও আমার কর্মীরা খুব খেটেছিলাম। আর রাজনীতি নিয়ে সিরিয়াস বলেই এসেছি, পিছু হটার প্রশ্নই উঠে নেই।’ অন্যদিকে পরাজিত হয়ে কোনো বিবৃতি দেননি কৌশানী। তবে ইনস্টা-স্টোরিতে তার অনুরাগীদের পাঠানো একাধিক বার্তা ‘হাল ছেড়ো না’ শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। রাজনীতিতে থাকবেন কিনা, তা হলফ করে বলা যাচ্ছে না।

বেহালা পশ্চিম আসনের বিজেপির তারকাপ্রার্থী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি এবং বেহালা পূর্ব আসনের বিজেপি প্রার্থী পায়েল সরকার। গ্ল্যামারের জোরেই হয়তো এমন গুরুত্বপূর্ণ সিট জিতে যাবেন ভেবেছিল দল। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। সোস্যাল মিডিয়ায় পায়েল জানিয়েছেন, এটা তার সবে শুরু। এই জার্নি চালিয়ে যাবেন তিনি। অর্থাৎ রাজনীতির মাঠ থেকে এখনই সরে যাওয়ার ভাবনা নেই তার। যদিও শ্রাবন্তীর দেওয়া বিবৃতিতে তার অবস্থান স্পষ্ট নয়। এই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের অভিজ্ঞতা তার কাছে শিক্ষণীয়। তবে আগামী দিনে কী করবেন, তা নিয়ে তিনি কিছু বলেননি এই আলোচিত অভিনেত্রী।

বিধানসভা নির্বাচনে তারকাপ্রার্থীদের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন সায়নী ঘোষ। বিজেপি শিবিরের হেনস্তার জবাবে মমতার হাত শক্ত করে ধরেছিলেন তিনি। কিন্তু অগ্নিমিত্রা পালের কাছে আসানসোল দক্ষিণ আসনে পরাজিত হয়েছেন। তবে তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রশংসা কুড়াচ্ছে। বাকপটু সায়নী হয়তো আগামী দিনে এই লড়াই অব্যাহত রাখবেন।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..