বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০২:৩০ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক: মৌলভীবাজার জেলার হাট বাজারে বাজারে মসল্লার বেড়ে যাওয়ার সুযোগে অসাধু মসলা কারারিরা মানবদেহের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকারক এমন ক্যামিক্যাল মিশ্রিত মসলা তৈরি করে বাজারে বিক্রিতে ভেজাল মসল্লায় সয়লভ। প্রশাসন জেল জরিমানা করলেও পুর্নরায় শুরু করে মেইল মালিকরা একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজারে বিক্রি। অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মসল্লার মেইল মালিকরা দাপটের সাথে ভেজাল মসলার ব্যবসা করছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন জনসাধারন।
শ্রীমঙ্গল ও হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠা মেইল ট্যাক্টরী থেকে এসব ভেজাল মসল্লার প্যাকেজাত হয়ে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জসহ অন্যান্য জেলায় মানব দেহের ক্ষতিকারক কাঠের গুড়া,ক্যামিক্যাল মসলাগুলো দাপটের সাথে বিক্রি করছে। অথচ এসব অবৈধ্য ব্যাবসায়ীরা জেল জরিমান ভোগ করেও ক্লান্ত হননি বরং আরো বেপরোয়া হয়ে চােিয় যাচ্ছেন রমরমা ব্যবসা।
এদিকে ভোক্তা,উপজেলা প্রশাসনের ও বিজিবি,র্যাব, পুলিশ, ইতিপুর্বে বেশ কয়েকটি অভিযানে বেজাল ধনিয়া গুড়া,হলুদের গুড়া,মরিচের গুড়ায় কাঠের গুড়া,ক্যামিক্যাল বিভিন্ন প্রকার রং এবং ব্যহ্রত পরিবহনসহ নকল পণ্য উদ্ধার করলেও মাছুম মসলার মেইল ফেক্টরী কারখানা মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, মাছুম মসলার মেইল পেক্টরী মালিক আঙ্গুর মিয়া তার মেইল ফেক্টরী থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার প্যাকেটজাত ও বস্তাবন্ধি করে শ্রীমঙ্গলসহ বিভিন্ন স্থানের হাট বাজার গুলোতে থাকা প্রতিষ্টানে বিক্রি করে মানব আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। কিন্তুু মানুষের সাথে প্রতারনায় দায়ে অটক হয়ে জেল জরিমানা হলেও তিনি তার ক্ষমতার দাপটে একের পর এক বেছে যাচ্ছেন। সরজমিনে আরো জানা গেছে, এই চতুর চালাক প্রভাবশারী আঙ্গুর মিয়ার শ্রীমঙ্গল উপজেলার সোনার বাংলা রোর্ডের (কাশিয়া পান) ফেক্টরীর আশ পাশে আরো বেশ কটি বিশাল বিশাল গোডাউন রয়েছে। প্রতিটি গোডাইনে তার নিজস্ব লোক দ্বারা প্যাকেজাত করে বাজার জাত করা হচ্ছে।
অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে প্রভাবশারী আঙ্গুর মিয়ার তার ফেক্টরির ভেজাল মসল্লার গাড়ি প্রশাসনের হাতে একাদিকবার আটক হলেও দফা রফা করে টাকার জুড়ে ছাড়িয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন, এই চুুর চালাক প্রতারক আঙ্গুর মিয়া মামলা হলেই দৌড়ঝাপ করে- বড় অংকের টাকার বিনিময়ে নিজেকে মুক্ত করে নেন বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।
তেমনি গত ২৮আগষ্ট শ্রীমঙ্গল শহরতলীর মাছুম মসলার মেইল থেকে একটি গাড়ি নিয়ে ভেজাল মসলা নিয়ে মৌলভীবজারে প্রবেশ করে। মৌলভীবাজার পৌরসভাস্থ কোদালীপুল জালালাবাদ গ্যাস টিএন্ডডি সিস্টেম লিমিটেড এর সম্মুখ থেকে একটি হলুদ রংয়ের টাটা পিকআপ যাহার রেজি নং ঢাকা মেট্রো নং ১৬-৩৩২২বুজাই করা ভেজাল খাদ্যদ্রব্য পন্য নিয়ে শহরের বিভিন্ন্ দোকানে কিত্রিকালে আটক করা হয়। মৌলভীবাজার মডেল থানার এসআই আবুল কামাল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সংগীয় ফোর্সসহ ভেজাল মসলাসহ ১জনকে আটক করলে বাকি ৩জন পালিয়ে যায়। পিকাআপ গাড়ি তলাশী করে ১২টি সাদা প্লাস্টিকের বস্তার হলুদের গুড়া (৬৫০কেজি) ও ১১টি সাদা প্লাস্টিকের বস্তায় মরিচের গুড়া (৬০০ কেজি) ৩টি সাদা প্লাস্টিকের বস্তায় ধনিয়ার গুড়া (২০০কেজি)। পুলিশ জানায় ভেজাল মসলায় মুল্য ৩লক্ষ ৩০হাজার টাকা। পুলিশ ও আটক মঙ্গল মিয়া জানায়,ভেজাল মিশ্রিত আছে ও জব্দকৃত মালামালের কোন বৈধ কাগজপত্র নেই। পলাতক আসামীগন পরষ্পর যোগসাজসে ভেজাল সামগ্রী মিশিয়ে খদ্যের অনুপযোগী জানিয়াও বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয়/বাজারজাত করিয়া আসিতেছে দীর্ঘদিন থেকে৷ অবৈধ্যভাবে শ্রীমঙ্গলস্থ মাছুম মসলা ফ্রাক্টরী মেইল থেকে মসলার খাদ্যদ্রব্যে মধ্যে ভেজাল সামগ্রী মিশিয়ে খাদ্যর অনুপযোগী জানিয়া ও বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজ হেফাজতে রাখিয়া বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় বাজারজাত করে আসছিল। এদিকে আটক মঙ্গল মিয়াকে ২৮আগষ্ট মৌলভীবাজার আদালতে প্রেরন করলে আদালত তাকে হাজতে প্রেরন করে।
এদিকে মামলার এজহারভুক্ত মুল হুতা মাঝুম মসলা মেইলের মালিক আঙ্গুর মিয়াসহ বাকিরা বহাল তবিহতে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। জানা গেছে এই আঙ্গুর মিয়া মামলা দায়েরের পর নিজেকে রক্ষার জন্য ইতমধ্যে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বলেন ভেজাল মসলার মালামাল বিভিন্ন সময়ে আটকের পর ম্যানেজ করার নজির রয়েছে। স¤প্রতি আটকের পর বলছেন টাকায় কিনা হয়। আমার টাকা আছে সব টাকায় শেষ হয়ে যাবে। শুধু তাই নয় আঙ্গুর মিয়া বছর খানেক আগেও পেশায় ঘড়ি মেইকার ছিল। রাতারাতি মসলার ফেক্টরী করে এখন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ নিয়েও এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার রয়েছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকুা আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন এর সাথে মোঠোফোনে আলাপকালে তিনি বলেন, মানব দেয়ের ক্ষতিকারক ভেজাল ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া মাছুম মসলার মেইলসহ আরো যারা ভেজাল মসলার ব্যবসা করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা নেয়া হবে যত দ্রুত সম্বব।
এব্যাপারে মৌলভীবাজার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর মৌলভীবাজার এর উপ পরিচালক মোহাম্মদ আল আমিন এর সাথে মোঠোফোনে আলাপকালে তিন বলেন- অবৈধ্যভাবে কেহ মানব দেহের ক্ষতিকারক রায়সানিক মিশ্রিত ভেজাল মসলার ব্যবসা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।