সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০২:২১ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:: ছেড়া জীর্ণ পোশাক, দাঁতে কালো ছো৪৪প, ছোট করে কাটা চুল। খুনের অভিযোগ। সংলাপ নেই। পরিচয় কয়েদি নম্বর ১৪৫। গত ২৫০ বছর ধরে কারাগারে বন্দি। হ্যাঁ, এইভাবেই গোটা একটা গোটা সিরিজে দেখা গিয়েছিল দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীকে। জল্পনা তিনি নাকি মীরজাফরের খুনি, কিন্তু কে এই মীরজাফর? ২৫০ বছর জেলবন্দি আসামি সত্যি কি সম্ভব নাকি পুরোটাই মিথ। টান টান রহস্যেকে সঙ্গ করেই শেষ হয়েছিল ‘কারাগার’ সিরিজের প্রথম সিজন। এবার আসতে চলেছে এই সিরিজের দ্বিতীয় ভাগ। সেখানেই রয়েছে বিরাট চমক। একেবারে ৩৬০ ডিগ্রী ভোলবদল হবে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর। প্রকাশ্যে কারাগার সিজন ২ এর ট্রেলার শুধুমাত্র আনন্দবাজার অনলাইনে।
চলতি বছর ১৯ অগস্ট মুক্তি পেয়েছিল ‘কারাগার’ সিরিজের প্রথম ভাগ। ৫০১ নম্বর কক্ষটি গত ৫০ বছর ধরে তালাবন্ধ। সেখানেই আচমকা উদয় রহস্যময় ব্যক্তির। কিন্তু কে সে সন্ধান চলেছে গোটা সিজন ধরে উত্তরটা অধরাই ছিল। এবার সেই জট ছাড়িয়ে একটা একটা রফাসূত্র মিলবে দ্বিতীয় সিরিজে। কয়েদি নম্বর ১৪৫ ই এখানে লেখক ডেভিড অ্যাডমস।
প্রথমভাগের সেই আসামি সঙ্গে তার কোনও মিলই যে নেই। পরনে কেতাদুরস্ত শার্ট, চোখ চশমা, চুলে ছোট পনিটেল। এভাবে সামনে আসবেন চঞ্চল চৌধুরী। ১৯৭১ সালটা যে বাংলাদেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ তা বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখেনা। ডেভিড মুক্তিযুদ্ধের সময়কার লেখক। কিন্তু তা হলেও আড়াইশো বছরের হিসেব যে মিলছে না। এই লেখকই যদি সেই বন্দি হন তাহলে কারাগার পর্যন্ত সে পৌঁছল কীভাবে? যে মীরজাফরের কথা ইশারয় বুঝিয়ে ছিলেন প্রথম ভাগে সেই বিশ্বাসঘাতকই বা কে? সেই সব প্রশ্নের উত্তর দেবে ‘কারাগার ২’। তবে এক কথায় বলা যেতেই পারে এই গল্প প্রতিশোধের। এই সিজনে গল্প যে আরও জমে উঠবে তার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন অভিনেতা আনন্দবাজার অনলাইনকে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর হইচই-তে মুক্তি এই সিরিজের দ্বিতীয় ভাগ। ততদিন পর্যন্ত রহস্য রয়েই যাচ্ছে।