শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৮ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : ইউক্রেন যুদ্ধের পরবর্তী কৌশল ঠিক করতে সামরিক বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনের অবকাঠামোতে রুশ বাহিনীর আরেক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দিন এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, পুতিন শুক্রবার বেশির ভাগ সময় ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের সদর দপ্তরে’ অবস্থান করে এবং দিনভর সেখানে বৈঠক করেন। শনিবার ক্রেমলিন থেকে পুতিনের বৈঠকের ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ভিডিওতে একটি গোলটেবিলে পুতিনের চারপাশে প্রায় এক ডজন কর্মকর্তাকে দেখা যায়, যাদের মধ্যে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমোভও ছিলেন।
এরপর পুতিনকে জয়েন্ট টাস্কফোর্সের সদর দপ্তরে অন্য একটি কনফারেন্স টেবিলে দেখা যায়, যেখানে সামরিক বাহিনীর কমান্ডারদের যুদ্ধ বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন তিনি।
পুতিনকে বলতে শোনা যায়, ‘অভিযান পরিচালনার বিষয়ে প্রতিটি দিক নিয়ে আমরা কমান্ডারদের পরামর্শ শুনব এবং একই সঙ্গে আমাদের তাৎক্ষণিক ও মধ্যমেয়াদি ব্যবস্থাগুলো কী হবে যে বিষয়ে আপনাদের প্রস্তাবগুলো শুনব।’
পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের বরাতে সংবাদ সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানায়, পুতিন শুক্রবার পুরো দিন টাস্কফোর্স সদর দপ্তরে কাটিয়েছেন। তবে পুতিনের অন্য কোথাও যাওয়ার বিষয় কিংবা সদর দপ্তরের অবস্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।
গত ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। প্রথম দিকেই দেশটির প্রায় এক-পঞ্চমাংশের দখল নিয়ে নেয় রুশ বাহিনী। কিন্তু গত কয়েক মাসে কয়েকটি অঞ্চল থেকে পিছু হটতে হয়েছে রাশিয়াকে।
প্রথমে রাজধানী কিয়েভের আশপাশের অঞ্চল থেকে পিছু হটে রুশ সেনারা। এরপর ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী খারকিভের দখল হাতছাড়া হয় এবং সম্প্রতি আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর খেরসন থেকেও পিছু হটেছে তারা।
বর্তমানে ইউক্রেনে অবস্থান করা রাশিয়ার পদাতিক বাহিনী আক্রমণের পরিবর্তে রক্ষণাত্মক কৌশলে যুদ্ধ করছে। নতুন কৌশল হিসেবে আকাশপথে হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে মস্কো। বিশেষ করে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অবকাঠামোগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। ফলে ইউক্রেনের লাখ লাখ মানুষ তীব্র শীতের মধ্যে বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকায় দেখা দিয়েছে পানির সংকটও।