1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৩ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশ-ভারত বন্ধু: নরেন্দ্র মোদী

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৬ মার্চ, ২০২১
  • ৩১৬ বার পঠিত

অনলাইন ডেস্ক: জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশ-ভারত বন্ধু; বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ শুক্রবার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নিজ বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এই ৫০ বছরে আরো দৃঢ় হয়েছে। এই দু’দেশের সম্পর্ক এমন- যা কখনো নষ্ট হবে না। এ অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য দুই দেশকে একসাথে কাজ করে যেতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, দুই দেশের এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের শক্তিশালী গণতন্ত্র রয়েছে। ৭১ সালের মতো এখনও সমান বিপদও রয়েছে। এই জাতীয় অমানবিক ঘটনাবলীর পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবে রূপদানকারী শক্তিগুলো এখনও সক্রিয় রয়েছে। আমাদের অবশ্যই তাদের থেকে সাবধানে থাকতে হবে এবং ওদের মোকাবিলা করার জন্য সংগঠিতও হতে হবে। আমাদের উভয় দেশেই গণতন্ত্রের শক্তি রয়েছে, এগিয়ে যাওয়ার সুস্পষ্ট দূরদর্শিতা রয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ অগ্রযাত্রা এই পুরো অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য সমান জরুরি।মোদী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে যেমন পাকিস্তানি সেনাদের অত্যাচার চলছিল। অন্যদিকে ভারতীয়রা শান্তিতে বসে ছিল না। পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত জঘন্য অপরাধ ও নৃশংসতার চিত্রগুলি আমাদের বিচলিত করত  এবং রাতের পর রাত বিনিদ্র করে রাখত।

 

‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা আমরা তাদের ভুলব না’- গোবিন্দ হালদারের গানটি গেয়ে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে যাদের অবদান ছিলো যারা তাদের রক্ত দিয়ে বাংলাদেশকে মুক্ত করেছিলেন, আমরা তাদের ভুলব না। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীজীর প্রয়াস ও মাহাত্ম্যপূর্ণ ভূমিকা সর্বজনবিদিত।বিহারী বাজপেয়ির অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, ওই সময়েই ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ অটল বিহারী বাজপেয়ির বলেছিলেন, “আমরা কেবল মুক্তি সংগ্রামে আত্মোৎসর্গকারীদের সাথে লড়াই করছি, সেই সাথে আমরা ইতিহাসকে একটি নতুন দিশা দেয়ার প্রচেষ্টাও করছি। আজ বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামীদের সাথে ভারতীয় সেনারাও নিজেদের রক্ত বিসর্জন দিচ্ছে। এই রক্ত একটি নতুন বন্ধন সৃষ্টি করবে যা কোন অবস্থাতেই ভাঙবে না, কোন কূটনীতিরও শিকার হবে না।” আমাদের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী জী বঙ্গবন্ধুকে একজন অক্লান্ত রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে অভিহিত করেছিলেন।

 

নরেন্দ্র মোদি বলেন, একটি স্বৈরাচারি সরকার তার নিজস্ব নাগরিকদের গণহত্যা করছিল। তাঁদের ভাষা, তাঁদের কণ্ঠস্বর ও পরিচয়কে চূর্ণ করছিল। অপারেশন সার্চলাইটের নিষ্ঠুরতা, নিপীড়ন ও অত্যাচারের বিষয়টি নিয়ে বিশ্বের যতটা সোচ্চার হওয়া উচিত ছিল তা হয়নি।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোটা ভারতবর্ষের মুক্তি সংগ্রামের আশার আলো ছিলেন বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

 

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সাহস ও তাঁর নেতৃত্ব এটা নিশ্চিত করেছিল যে, কোনও শক্তিই বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেছিলেন- “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। তাঁর নেতৃত্বে সাধারণ মানুষ, কৃষক, যুবক, শিক্ষক ও শ্রমিক সকলেই এক হয়ে মুক্তিবাহিনী গঠন করে। তাই আজকের এই দিনটি মুজিববর্ষ , বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, তাঁর আদর্শ ও সাহসকে স্মরণ করার জন্যও আদর্শ একটি দিন। আজকের এই সময় “চির বিদ্রোহী” ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আবার স্মরণ করার সময়।এ সময় নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বের সুবর্ণজয়ন্তীতে ‘বৃত্তি’ চালুর ঘোষণা দিয়েছেন।

 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে দু’দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার (২৬ মার্চ) সকালে সাড়ে দশটার দিকে নরেন্দ্র মোদীকে বহনকারী বিশেষ বিমানটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। করোনা মহামারি শুরুর পর এটিই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রথম বিদেশ সফর।বিমানবন্দর থেকে বীর শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান মোদী। মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষেশ হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে যান নরেন্দ্র মোদী। সেখানে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে, বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন মোদী।

সন্ধ্যায় মোদী যাবেন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। সেখানে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের উদ্বোধন করবেন তিনি। এরপর প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে নৈশভোজে অংশ নেবেন মোদী।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..