মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন
সিলেট প্রতিনিধি :: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধের কারণে ৪৯ দিন পর সিলেট থেকে ছেড়েছে যাত্রীবাহী ট্রেন। সোমবার (২৪ মে) সকাল ১১ টায় ১৪৭ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্য ছেড়ে যায় জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস।
তবে দীর্ঘদিন পর ট্রেন চলাচল শুরু হলেও যাত্রীর চাপ কম ছিল। তবে রেল স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বলছেন- প্রথম দিন ট্রেন ছাড়ার খবর অনেকে জানেন না, তাই যাত্রীর চাপ কম। আসন অর্ধেক ফাঁকা রাখার কথা বলা থাকলেও যাত্রী কম থাকায় তার চেয়েও বেশি আসন ফাঁকা রয়েছে। এখন যেহেতু চালু হয়েছে আস্তে আস্তে যাত্রীর চাপ বেড়ে যাবে।
তবে যাত্রী কম থাকলেও স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে ছিল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে যাত্রীদের ওঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্টেশনের প্রবেশমূখে রয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। মাস্কের ব্যাপারেও ছিল কড়াকড়ি।
এর আগে রোববার (২৩ মে) ট্রেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন চলাচলের ঘোষণার পরপরই স্টেশনের প্লাটফর্মগুলোতে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়। ধোয়া-মুছা করা হয় ট্রেনের সিট।
এদিকে সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে আজ থেকে প্রতিদিন তিনটি ট্রেন চলাচল করবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে মন্ত্রণালয়। ট্রেনগুলো হল- পারাবত এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা/উপবন এক্সপ্রেস, পাহাড়িকা/উদয়ন এক্সপ্রেস।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার খলিলুর রহমান বলেন, সোমবার সকাল ১১ টায় প্রথম ট্রেনটি স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী অর্ধেক যাত্রী নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তাও পূরণ হয়নি। এজন্য মাত্র ১৪৭ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্য ছেড়ে যায় জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস। আর বিকেল তিনটায় ঢাকার উদ্দেশ্য ছেড়ে যাবে পারাবত এক্সপ্রেস। অন্যদিকে রাত ৯ টা ৪০ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্য সিলেট ছাড়বে উদয়ন এক্সপ্রেস।
তিনি আরও বলেন, ট্রেনের অর্ধেক আসন ফাঁকা থাকলেও ভাড়া বৃদ্ধি হয়নি। তবে যাত্রীরা প্রতিটি ট্রেনের টিকিট অনলাইনে কিনতে হবে। এছাড়া সকল অগ্রিম টিকিট যাত্রার পাঁচ দিন আগে কেনা যাবে। কিন্তু অনলাইনে কেনা টিকিট ফেরত দেওয়া যাবে না। পাশাপাশি আসনবিহীন কোনও টিকিট থাকবে না। তাই অযথা কাউন্টারে ভিড় করা থেকে বিরত থাকতেও অনুরোধ করেন রেলওয়ের এ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের দেয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ট্রেন পরিচালনা করা হবে। আমরা এই বিষয়টি সবোর্চ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।
এদিকে ট্রেনে ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক যাত্রীদের নিজ নিজ টিকিট নিশ্চিত করেই কেবল ট্রেনে ভ্রমণের জন্য অনুরোধ করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। টিকিটবিহীন কোনও যাত্রী স্টেশনে প্রবেশ বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন না। ট্রেনে প্রবেশ ও বাহিরের জন্য ভিন্ন ভিন্ন দরজা ব্যবহার করতে হবে, বিশেষ প্রয়োজন ব্যতীত রেলভ্রমণ করা যাবে না। অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মাস্ক ছাড়া কোনও যাত্রীতে স্টেশনে প্রবেশ বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে দেওয়া হবে না।
এর আগে ৫ এপ্রিল থেকে যাত্রীবাহী সব ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করে। এরই মধ্যে ৭ এপ্রিল থেকে কৃষিজাত পণ্য ও পার্শ্বেল পরিবহনে চার জোড়া নতুন ট্রেন পরিচালনা করা হয়।