মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ১১:০৯ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : চীন দুঃখপ্রকাশ করলেও ‘আবহাওয়া বেলুন’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়া দেখাল। যার ফলশ্রুতিতে বেইজিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সফর স্থগিত হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো, যে বেলুন নিয়ে এত উৎকণ্ঠা তা কেন ধ্বংস করছে না ওয়াশিংটন। খবর এনডিটিভি।
‘নজরদারি বেলুন’ হিসেবে ফলাও করে প্রচার করা হলেও উড়ন্ত বাহনটি এখনো আকাশে বহাল রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক দিক থেকে সুবিধাজনক অবস্থান থাকতে একে ব্যবহার করছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো বলছেন, বেলুনটির আকার তিনটি বাসের সমান। এর নিচের অংশের রয়েছে সরঞ্জামবাহী একটি পেলোড। যে গতিতে এটি উড়ছে সম্ভবত আরো কয়েক দিন যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় থাকবে।
বেলুনটি দেখতে পাওয়ার পরপরই পেন্টাগন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চীনের আকাশসীমা লঙ্ঘন সম্পর্কে অবহিত করে। এরপর থেকে তিনি পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানায় হোয়াইট হাউজ। তবে জনসাধারণের নিরাপত্তার কথা ভেবে এখন পর্যন্ত বেলুনটি ধ্বংসের সিদ্ধান্ত থেকে দূরে আছেন তারা। পেন্টাগন প্রেস সেক্রেটারি ব্রিগে. জেনারেল প্যাট রাইডার সাংবাদিকদের একথা জানান।
পরিস্থিতি বর্ণনা করেন এভাবে, নজরদারি বেলুনটির নিচে একটি বড় পেলোড রয়েছে। এটিই বেলুনের মূল অংশ। এর কৌশলগত সক্ষমতা রয়েছে। বর্তমানে মধ্যাঞ্চল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে জানান, চীন দুঃখপ্রকাশ করে বিবৃতি দিলেও এ ঘটনাকে তারা সার্বভৌমত্বের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে।
হোয়াইট হাউজ ও পেন্টাগন উভয়ই বেলুনটিকে ভূমিতে থাকা মানুষের জন্য সামরিক বা শারীরিক হুমকি মনে করছে না। এ কারণে এটি ভূপতিত করার কোনো পদক্ষেপ তারা নেয়নি। এতে ধ্বংসাবশেষ পড়ে বেসামরিক হতাহত বা সম্পত্তির উল্লেখযোগ্য ক্ষতির কারণ হবে। তবে মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা নিয়মিত বেলুনটির গতিবিধি ও অন্যান্য বিষয় পর্যবেক্ষণ করবে। পাশাপাশি বিকল্প কর্মপদ্ধতি নিয়েও তারা ভাবছেন।