1. newsmkp@gmail.com : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. info@fxdailyinfo.com : admi2017 :
  3. admin@mkantho.com : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ১১:০০ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে: রাষ্ট্রপতি

হাইব্রিড বেগুন পার্পলকিং র বাম্পার ফলন: বাজারে বেগুনের ঘাটতি পূরণে ভূমিকা রাখবে পার্পলকিং

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ২৫২ বার পঠিত

চৌধুরী ভাস্কর হোম, মৌলভীবাজার: অধিক ফলনশীল ও আকর্ষণীয় হাইব্রিড বেগুন (পার্পলকিং) চাষে চমক সৃর্ষ্টি করেছেন মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার উত্তর ভাড়াউরা গ্রামের মডেল চাষী অভিনয় দেব। অধিক ফলনশীল ও আকর্ষণীয় হাইব্রিড বেগুন (পার্পলকিং) চাষের সফলতায় অনান্য কৃষকদের মাঝেও সারা জাগিয়েছেন তিনি। তাঁর এমন সফলতা দেখে এ গ্রামের বেকার যুবক সহ অনেকেই এখন ঝুঁকছেন পার্পলকিং চাষের দিকে। অল্প খরছে অধিক লাভবান হওয়ায় বেগুন চাষ করতে আগ্রহী এলাকার অনেক কৃষক। আগামী রমজান মাসে স্থানিয় বাজারে বেগুনের ঘাটতি পূরণ করতে সক্ষম হবে হাইব্রিড বেগুন পার্পলকিং। এই উচ্চ ফলন শীল বীজ সকল কৃষদের মাঝে বিস্তার ঘটাতে উদ্যোগ নিয়েছে বীজ এর উৎস প্রতিষ্ঠান লাল তীর সীড।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর ভাড়াউরা গ্রামের কৃষক অভিনয় দেব। তার দুই বিঘা জমিতে শুরু করেন লালতীর এর হাইব্রিড জাতের বেগুন (পার্পলকিং) চাষ। তার মাঠে এখন সারি সারি গাছে ঝুলছে অগণিত বেগুন (পার্পলকিং)। চারা লাগানোর ৬০ দিনের মাথায় গাছে ফল আসা শুরু করে। ওজনে একেকটি বেগুন ১৫০ থেকে ১৮০ গ্রাম হয়। এবং একটি গাছ থেকে প্রায় ৩০ কেজি বেগুন প্রতি বছর ফলন পাওয়া যায়। দীর্ঘ মিয়াদি ফল দেয় এই বেগুন। দুই বিঘা জমিতে এই বেগুন চাষ করতে খরচ হয়েছে ৭০ হাজার টাকার মতো। পার্পলকিং চাষ করে এবার বাম্পার ফলন পেয়েছেন তিনি। প্রথম অবস্তায় এক লক্ষ টাকার বেগুন বিক্রি করেছেন কৃষক অভিনয় দেব । প্রতি কেজি বেগুন ২৩ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। তিনি প্রতি দুই দিন পরপর ২০০ থেকে ২৫০ কেজি বেগুন সংগ্রহ করছেন এবং তা বিক্রি করেছেন। এই জমি থেকে আরো ৭ মাস বেগুন বিক্রি করতে পারবেন তিনি। এছাড়াও আগামী রমজান মাসে শ্রীমঙ্গলের বাজারে বেগুনের ঘাটতি পূরণ করতে সহায়ক ভ‚মিকা রাখবে উৎপাদিত হাইব্রিড বেগুন পার্পলকিং।
স্থানীয় কৃষক নিবাস, রিপন এবং মলয় দেব জানালেন, অভিনয় দেব হাইব্রিড বেগুন চাষ শুরু করার অল্প সময়ে চাষে সফল হয়েছেন। তাঁর চাষ দেখে তাদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ তৈরি হয়েছে। তার এ সফলতা দেখে গ্রামের অনেকেই পার্পলকিং চাষ করার পরিকল্পনা করছে।
সফল কৃষক অভিনয় দেব বলেন, পার্পলকিং চাষ করে সফলতা পেয়েছেন তিনি। চাষ শুরু করার পর থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ হলেও প্রথম অবস্থাতেই এক লক্ষ টাকার বেগুন বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি তার এই বেগুন চাষে এলাকার বেকার চার জন মানুষের কর্মসংস্থা এর সুযোগ হয়েছে তাঁর এখানে।
হাইব্রিড বেগুন পার্পলকিং বীজ এর উৎস প্রতিষ্ঠান লাল তীর সীড এর বিভাগীয় ব্যবস্থাপক তাপস চক্রবর্তী জানান, পার্পলকিং অধিক ফলনশীল আকর্ষণীয় ও এদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ূতে সহনশীল। কৃষকদের জন্য অনেকটাই আর্থিকভাবে লাভজনক এবং সারা বছর চাষ করা যায়।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি বিভাগ এর উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, হাইব্রিড পার্পলকিং চাষ করে কৃষক অল্প সময়ে লাভবান হবেন। যার বাস্তব প্রমান উত্তর ভাড়াউরা গ্রামের মডেল চাষী অভিনয় দেব। উনাকে দেখে এখন অনেক কৃষক বেগুন চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষন দেওয়া হচ্ছে।
অভিনয় দেব এর মত অন্যান্য কৃষকরাও যেন তাদের অনাবাদি, খালি পড়ে থাকা জমিতে সবজি চাষ বৃদ্ধি করেন। এ অঞ্চলে সবজি চাষ বৃদ্ধি এবং নতুন নতুন জাতের সবজির প্রসার ঘটাতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি বলে জানান বিভাগীয় ব্যবস্থাপক তাপস চক্রবর্তী।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..