মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে থেমে থেমে বইছে ঝড়ো বাতাস, সেই সঙ্গে রয়েছে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি।
ঝড়ের প্রভাবে মেঘনার পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ বুধবার (২৬ মে) সকালে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ১৪ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাতাসের সঙ্গে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে ভোলার বোরহানউদ্দিন বড়মানিকা ইউনিয়ন, চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর, কুকরী-মুকরি ও চর পাতিলা, দৌলুতখানের সৈয়দপুরসহ, তজুমদ্দিন ও মনপুরার বেশ কিছু নিচু এলাকাসহ চর। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় তিন হাজার পরিবার। জোয়ারের পানিতে ঢালচরসহ নি¤œাঞ্চলের ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে।
এদিকে, চরফ্যাশন চর কুকরি মুকরি, ঢালচর হতে মঙ্গলবার রাতে ৮ হাজার পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র সরিয়ে আনে দক্ষিণ কোস্টগার্ট। এছাড়া, মঙ্গলবার রাত ১২টায় লালমোহনে ঝড়ে গাছের চাপায় আবু তাহের (৪৮) নামের এক রিকশাচালক মারা যান।
এদিকে, নিম্নাঞ্চলের মানুষ এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। বুধবার সকাল হতে একই বেগে বাতাস বয়ে যাচ্ছে সেই সঙ্গে বৃষ্টি রয়েছে।
মুজিবনগর বাসিন্দা কালাম জানান, চরমনোহর এলাকা দিয়ে বেড়িবাঁধ ছুটে গিয়ে পানিতে পুকুর সব তলিয়ে গেছে। পর স্থানীয় লোকজন বস্তা দিয়ে বেড়ি সংস্কার করে।
চরফ্যাশন ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার জানান, ঢালচর ইউনিয়নটি এখন ৬ ফুট জোয়ারের পানিতে একেবারে ডুবে গেছে। এতে সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ২৫টি ঘর বাড়ি ধসে পড়েছে এবং প্রায় সাত শতাধিক ঘর বাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। রাস্তা ঘাট সব পানির নিছে ডুবে গেছে। এতে এখন মানুষ পানি বন্দি আছেন।
জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরীর জানান, বেশ কিছু নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে । ওই সকল উপকূলের মানুষকে নিরাপদে আনা হচ্ছে।