বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ১০:২৪ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কোনো কম্প্রোমাইজ করব না। প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব থেকে আমরা সরে যাব।’
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। দেশি-বিদেশি কোনো চাপ নেই বলেও জানান এই কমিশনার।
ইসি আলমগীর বলেন, ‘আমাদের কম্প্রোমাইজ করতে হলে এ চেয়ারে দেখবেন না। আমরা যে কাজের জন্য শপথ করেছি সেটা যদি না-ই করতে পারি তাহলে এই চেয়ারে থাকব কেন? আমাদের কমিশনে যারা আছি সবার মনোভাব একই রকম। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারব না- এটা বিশ্বাস করি না। প্রয়োজনে দায়িত্ব থেকে সরে যাব।’
এ সময় সাংবাদিকরা জানতে চান, দলীয় সরকারের অধীনে ভোট সুষ্ঠু হবে না-এ ধারণা ভাঙার দায়িত্ব কার? জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, এটা ভাঙার দায়িত্ব রাজনীতিবিদদের। এখানে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই। এটা রাজনৈতিক সমস্যা। রাজনৈতিক সমস্যা, রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। এ বিষয়টিতে আমাদের কিছু করার নেই। সংবিধানও সেই দায়িত্ব আমাদের দেয়নি।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে ভোট সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা। নির্বাচনে যারা অংশ নেবেন তারা স্বাধীনভাবে প্রচার করতে পারেন, ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে এসে তাদের ইচ্ছেমত তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন, ভোট গণনা যাতে সুষ্ঠুভাবে হয়, নির্বাচনের ফলাফল যাতে সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয় ভোটারদের ইচ্ছার, সেটা ইসির দায়িত্ব।আমরা সে দায়িত্ব পালনের প্রতি শতভাগ অঙ্গীকারবদ্ধ রয়েছি। আমরা সেটা করব।
কমিশনার বলেন, ‘আমরা শুধু এটুকু বলতে পারি, যে ধরনের সরকারই থাকুক না কেন বর্তমান ইসি শতভাগ সৎ, নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে।’
‘নির্বাচন কমিশন সৎ’- বিরোধী দলের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এমন মূল্যায়ন না পাওয়ার বিষয়ে ইসি আলমগীরের মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা (বিরোধী দল) কেন করছে না সেটা তারাই ভালো বলতে পারবেন। তবে আমাদের এক বছরের কার্যক্রম দেখে তারা কি বলতে পারবে আমরা নিরপেক্ষতা ভঙ্গ করেছি? অথবা দুই প্রার্থীর প্রতি আচরণ দুই রকম হয়েছে?
দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ ভোট করা সম্ভব কি? জবাবে ইসির এই কমিশনার দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘কমিশন চাইলে সম্ভব। পৃথিবীর সব দেশেই প্রায় দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হয়। এটা নির্ভর করে নির্বাচন কমিশন কতটা সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে। আমরা যদি আমাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করি এবং সেটা আমাদের ইচ্ছা আছে, অবশ্যই একটা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।’