1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কেউ ঠিকানাহীন থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২২ মার্চ, ২০২৩
  • ১৫০ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট : বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় কোনো মানুষ ঠিকানাহীন থাকবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (২২ মার্চ) গণভবন থেকে দেশের বিভিন্ন উপজেলা ৩৯ হাজার ৩৬৫ পরিবারকে ভূমি ও ঘর দেওয়ার অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।এদিন প্রধানমন্ত্রী গাজীপুরের শ্রীপুর, বরিশালের বানারীপাড়া ও সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না সে ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। শুধু থাকার ব্যবস্থাই নয়, সেই সঙ্গে পানির ব্যবস্থা, ঋণসহ প্রয়োজনীয় সব বিষয়ে সহায়তা করে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা ১৪৯টি উপজেলা ভূমিহীন গৃহহীন করেছি, পঞ্চগড়সহ অনেক জেলাও ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ৯ জেলা ছাড়াও ২৫১টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।

জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনার আরও যদি কেউ ভূমিহীন, গৃহহীন থাকে তার তালিকা করবেন। আমরা তাদেরও ঘর করে দেব।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল। এ দল মানুষের পাশে থাকে। তাদের জন্য কাজ করে। আমাদের একটাই লক্ষ্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দেশে কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না। আমরা চাই দেশের সবার ঘর-বাড়ি থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৯১ সালের বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ঘুমিয়ে ছিলেন, তিনি ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে কিছু জানতেন না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ের সময় বিএনপি সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। যেহেতু আমাদের সংগঠন সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে আছে, তাই আমি প্রথমে ফোন পাই। ঘূর্ণিঝড়ে চট্টগ্রাম, বিশেষ করে দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চল পুরোপুরি তছনছ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগই প্রথম ছুটে গিয়েছিল মানুষের পাশে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘সেই ঘূর্ণিঝড়ে লাখ লাখ মানুষ মারা যায়, আমরা নিজের চোখে দেখেছি। আমরা ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে দেখি মানুষ ও পশু-পাখির লাশ একসঙ্গে ভাসছে। আমরা সেখানে বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে মানুষের পাশে দাঁড়াই, তাদের সাহায্য করি এবং মরদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করি।’

তখনকার তিন বাহিনীর প্রধানদের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তখনকার সংসদে আমরা বিষয়টা তুলে ধরলাম। তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খালেদা জিয়া। তিনি তখন ঘুমিয়ে ছিলেন, জানেন না কিছু। তখনকার তিন বাহিনীর প্রধান গলফ খেলছিলেন। ঘূর্ণিঝড়ে যে এত বড় ক্ষতি হয়ে গেছে, তা-ও তারা জানতেন না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমানবাহিনীর, নৌবাহিনীর সবকিছু চট্টগ্রামে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। সারা বাংলাদেশ তছনছ। একেবারে চট্টগ্রামসহ পুরো অঞ্চল। রাস্তাঘাট বন্ধ ছিল। তারপরও আমরা ছুটে গিয়েছিলাম, মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। সে সময় অনেক মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে কক্সবাজারে বস্তিতে থাকতো। আমরা তাদের পুনর্বাসন করেছি।’

এদিন মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, রাজশাহী, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি ১৫৯টি উপজেলাকেও ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা দেন। গেল বছর মাগুরা ও পঞ্চগড় জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় এতে গণভবনসহ বিভিন্ন প্রান্তে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, রাজনৈতিক নেতা ও সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..