1. newsmkp@gmail.com : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. info@fxdailyinfo.com : admi2017 :
  3. admin@mkantho.com : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
জাতীয় :  সন্ধ্যায় তিন বিভাগে কালবৈশাখীর আশঙ্কা

ফ্র্যাঞ্চাইজির সেরা ওপেনিং দিল ‘জন উইক: চ্যাপ্টার ফোর’

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩
  • ৩৭ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট : কিয়ানু রিভস ফিরেছেন তার পুরনো রূপে। আর ফিরেই বক্স অফিসে শুরু করেছেন তাণ্ডব। ২৪ মার্চ মুক্তি পাওয়া ‘‌জন উইক: চ্যাপ্টার ফোর’ এ ফ্র্যাঞ্চাইজির সেরা ওপেনিং পেয়েছে। সিনেমাটি ওপেনিংয়ে উত্তর আমেরিকায় ৭ কোটি ডলার আয় করবে বলে ধারণা করছেন বক্স অফিস বিশেষজ্ঞরা। ৩ হাজার ৮৫৫টি থিয়েটারে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি প্রথম দিনে আয় করেছে ২ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। এর মধ্যে বৃহস্পতিবারের প্রিভিউ থেকে আয় করেছিল ৮৯ লাখ ডলার।

অতিমারী পরবর্তী সময়ে বক্স অফিসের দুরবস্থা চলছে। সেদিক থেকে এ আয়কে ভালো বলতেই হয়। কিন্তু জন উইকের ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদাভাবে লক্ষ করার মতো। সিনেমাটি অন্য যেকোনো হলিউড সিনেমার তুলনায় খুব দ্রুত ভালো মুনাফা করেছে। এর পাশাপাশি অ্যাকশন সিনেমা হিসেবে দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা শুরু থেকেই ছিল এবং ক্রমাগত তা বেড়েছে। গত দশকে অরিজিনাল অ্যাকশন ফিল্মের বাজার কমেছে। কিন্তু সেখানে জন উইক তার বাজার বাড়িয়ে চলেছে। ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল এ ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় সিনেমা ‘‌প্যারাবেলাম’। সিনেমাটি তার ওপেনিংয়ে আয় করেছিল ৫ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। এ সময়ে এসে মার্ভেলের মতো জনপ্রিয় ধারার সিনেমাও তাদের আগের সিনেমার মতো আয় করতে

পারে না। সেখানে জন উইক ফ্র্যাঞ্চাইজি যেভাবে আগের সিনেমার আয় ছাড়িয়ে যাচ্ছে তা এ সিনেমার জন্য আলাদা করে উল্লেখ করার মতোই বিষয়।

সিনেমাটি বক্স অফিসে ভালো আয় করেছে, এটি একটি দিক। অন্যদিকে পাচ্ছে সমালোচকদের প্রশংসা। সিনেমাটি এরই মধ্যে আইএমডিবিতে পেয়েছে ৮.৫/১০ রেটিং। সিনেমার আরেক সমালোচক সাইট রটেন টমেটোজে এটি ৯২ শতাংশ ভোট পেয়েছে। রটেন টমেটোজে ভালো স্কোর পাওয়া সহজ না। সেদিক থেকে বলতে হয় সিনেমাটি আসলেই ভালো অবস্থানে আছে। সিনেমাস্কোরেও এ রেটিং পেয়েছে জন উইক: চ্যাপ্টার ফোর।

সিনেমার ব্যবসার সঙ্গে এর বাজেটের একটা সম্পর্ক থাকে। জন উইকের চতুর্থ সিনেমাটি এ ফ্র্যাঞ্চাইজির সবচেয়ে বড় বাজেটের সিনেমা। এটির বাজেট ছিল ১০ কোটি ডলার। সে কারণে অতিমারী পরবর্তী সময়ে সিনেমাটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন এর নির্মাতারা। কেননা হলিউডের অন্যান্য জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজির সিনেমাগুলো বক্স অফিসে খুব ভালো ব্যবসা করতে পারছিল না। কিন্তু সে শঙ্কা এর মধ্যেই কাটিয়ে ফেলেছে কিয়ানু রিভসের অ্যাকশন। সিনেমাটির প্রথম তিনদিনের আয় ইঙ্গিত দিচ্ছে বাজেট অনুসারে আয়ও বেশি করবে এটি।

সুপারহিরো সিনেমার যুগে জন উইক ধরে রেখেছে অ্যাকশন সিনেমার ধারা। অন্যদিকে সিনেমাটির এ সাফল্যের পেছনে কিয়ানু রিভসের অবদানও কম না। মূলত চরিত্রটি তার সমার্থক হয়ে উঠেছে। কিয়ানু রিভসের লয়্যাল ফ্যানবেজ এ সিনেমার জন্য আগ্রহ নিয়ে বসে থাকে। অন্যদিকে রিভস এ চরিত্রটি এমনভাবে পর্দায় তুলে ধরেছেন, এর পাশাপাশি অ্যাকশন দৃশ্যগুলো দারুণভাবে ডিজাইন করার কারণে দর্শকের বিরক্ত লাগার কোনো সুযোগ থাকে না। জন উইকের আরেকটি বিশেষত্ব, এ সিরিজটি পানসে হয়ে যায়নি। দর্শকের মনোযোগ ধরে রাখার জন্য সিনেমার গল্প ও উপস্থাপনে নতুনত্ব আনা হয়েছে। চ্যাড স্তালেস্কি পরিচালিত এবারের সিনেমাটি আগের চেয়ে অনেক বেশি অ্যাডাল্ট বলে দাবি করেছেন নির্মাতারা। সিনেমার অ্যাকশন দৃশ্যগুলো দেখে সে রকমই মনে হয়।

জন উইক চরিত্রের বহু ভক্ত আছে বিশ্বময়। আমেরিকার বাইরেও সিনেমাটি ভারতসহ অন্যান্য দেশে ভালো ওপেনিং পেয়েছে। আশা করা হচ্ছে বড় বাজেটের সিনেমার পাশাপাশি জন উইকও সেরার তালিকায় থাকবে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..