1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৮ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

‘সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণে ভারতের সঙ্গে আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ’

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৮৩ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট:পরিবেশ, বন ও জলবায়ুপরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বাঘ এবং চিতাবাঘের আবাসস্থল সংযুক্ত থাকায় ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা বাঘ ও চিতাবাঘ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

তিনি বলেন, পৃথিবীতে সাতটি বড় বিড়াল প্রজাতি এবং বাংলাদেশে দুটি সংকটাপন্ন বড় বিড়াল প্রজাতির সংরক্ষণের গুরুত্ব বিবেচনা করে, আমরা এই প্রজাতিগুলির আশ্রয়কারী দেশগুলির সদস্যপদ নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল বিগ ক্যাটস অ্যালায়েন্স (আইবিসিএ) গঠনকে নীতিগতভাবে সমর্থন করি।

রোববার সন্ধ্যায় ভারতের কর্ণাটকের মহীশুর ইউনিভার্সিটিতে প্রকল্প টাইগারের ৫০ বছর উদযাপনের অংশ হিসেবে আয়োজিত বাঘ সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বোধনের পর অনুষ্ঠিত অধিবেশনে পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সক্রিয় অংশগ্রহণে শূন্য শিকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে বন্য বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছে। বাঘের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জীববৈচিত্র, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষা ও উন্নতির জন্য সংবিধানে একটি নতুন ধারা; বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২-এ বাঘ শিকারের জন্য ২ থেকে ৭ বছরের কারাদন্ড এবং ১ মিলিয়ন টাকা জরিমানার বিধান সন্নিবেশিত করা হয়েছে। এ ছাড়া সরকার জাতীয় বাঘ পুনরুদ্ধার কর্মসূচি (২০২২ থেকে ২০৩৪) এবং দ্বিতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশ টাইগার অ্যাকশন প্ল্যান (২০১৮-২০২৭) বাস্তবায়ন করছে।

মন্ত্রী বলেন, এর মধ্যে রয়েছে বাঘ জরিপ, জেনেটিক অধ্যয়ন, সুন্দরবনের অভ্যন্তরে ড্রোন দ্বারা স্মার্ট টহল ও পর্যবেক্ষণ, সুন্দরবন ও বেঙ্গল টাইগারের সুরক্ষা ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে বন বিভাগের ফ্রন্টলাইন কর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধির কর্মসূচি।

সহযোগিতা জোরদারকরণের মাধ্যমে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার সংরক্ষণের জন্য ২০১১ সালে বাংলাদেশ ও ভারত একটি প্রটোকল স্বাক্ষর করেছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, বাঘ-মানব সংঘাত কমাতে আমাদের সরকার গ্রাম টাইগার রেসপন্স টিম, কো-ম্যানেজমেন্ট কমিটি এবং কমিউনিটি পেট্রোল গ্রুপ গঠন করে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে বাঘ সংরক্ষণ কার্যক্রমে নিয়োজিত করেছে। বন্যপ্রাণীর দ্বারা ক্ষতিপূরণ বিধিমালা, ২০২১-এ বাঘের দ্বারা নিহত ব্যক্তির জন্য ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিধান রয়েছে। অবৈধ বন্যপ্রাণী ব্যবসা রোধে বন বিভাগের অধীনে বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিট গঠন করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণের সক্ষমতা বাড়াতে শেখ কামাল বন্যপ্রাণী কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে যা উৎকর্ষ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে।

উল্লেখ্য, এর পূর্বে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশ্বের সাতটি বড় বিড়াল প্রজাতির প্রাণী যেমন বাঘ, সিংহ, চিতাবাঘ, তুষার চিতা, পুমা, জাগুয়ার এবং চিতার সুরক্ষা এবং সংরক্ষণের ওপর ফোকাস করার জন্য ইন্টারন্যাশনাল বিগ ক্যাটস অ্যালায়েন্স (আইবিসিএ) উদ্বোধন করেন। এ অনুষ্ঠানে এসব প্রজাতিকে আশ্রয় দেয়া দেশগুলোর পরিবেশ ও বনমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..