1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:৪৬ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

মে মাসেও রেমিটেন্সের নতুন রেকর্ড

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২ জুন, ২০২১
  • ২৩৪ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট :: ঈদের মাস মে’তে দেশে রেকর্ড পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছে। এ মাসে ২১৭ কোটি ডলারের বেশি রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা একক মাস হিসেবে এ যাবতকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

এটি গত অর্থবছরের একই মাসের চেয়ে ৪৪ শতাংশ ও আগের মাস এপ্রিলের চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি সবমিলে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) প্রবাসী আয়ে প্রায় সাড়ে ৩৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা নতুন রেকর্ড। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তরা জানান, ঈদের কারণে মে মাসে প্রবাসীরা বেশি রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। এছাড়া রেমিটেন্সে ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়ার পর থেকে প্রতি মাসেই প্রবাসীরা পরিবার-পরিজনের কাছে বেশি অর্থ পাঠাচ্ছেন। করোনার সংক্রমণের মধ্যেও তাদের অর্থ প্রেরণ বেড়েছে।

২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স পাঠালে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। চলতি অর্থবছরেও এই সুবিধা বহাল রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, মে মাসে ২১৭ কোটি ১০ লাখ ডলারের রেমিটেন্স এসেছে, যা এ যাবতকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আর চলতি অর্থবছরের জুলাইতে একক মাস হিসেবে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ রেমিটেন্স আসে। ওই মাসে আসা রেমিটেন্সের পরিমাণ ছিল ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার।

এদিকে গত অর্থবছরের মে মাসে রেমিটেন্স আসে মাত্র ১৫০ কোটি ৫০ লাখ ডলার। সে হিসাবে গত মে মাসে রেমিটেন্স বেড়েছে প্রায় ৪৪ দশমিক ২৫ শতাংশ। আগের মাস এপ্রিলেও রেকর্ড পরিমাণ রেমিটেন্স আসে দেশে। ওই মাসে দেশে রেমিটেন্স আসে ২০৬ কোটি ৭১ লাখ ডলার। গত বছরের এপ্রিল মাসে রেমিটেন্স এসেছিল মাত্র ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত মার্চ মাসে রেমিটেন্স আসে ১৯১ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। এ ছাড়া গত ফেব্রুয়ারি মাসে আসে ১৭৮ কোটি ডলার। জানুয়ারিতে আসে ১৯৬ কোটি ১৯ লাখ ডলার। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে আসে ২০৫ কোটি ৬ লাখ ডলার। এ ছাড়া গত বছরের নভেম্বরে রেমিটেন্স ২০৭ কোটি ৮৭ লাখ ডলার, অক্টোবরে ২১০ কোটি ২১ লাখ ডলার ও সেপ্টেম্বরে ২১৫ কোটি ১০ লাখ ডলারের রেমিটেন্স আসে। সবমিলে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) ২ হাজার ২৮৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারের (২২ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার) রেমিটেন্স এসেছে দেশে, যা নতুন রেকর্ড। গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে রেমিটেন্স আসে ১ হাজার ৬৩৭ কোটি ২০ লাখ ডলার। এই হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে রেমিটেন্স বেড়েছে প্রায় ৬৫০ কোটি ডলার বা ৩৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

এদিকে সদ্যবিদায়ী ২০২০ সালেও রেমিটেন্স আহরণে অনন্য রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। গত বছরে দেশে ২ হাজার ১৭৪ কোটি ১৮ লাখ (২১ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন) ডলারের রেমিটেন্স পাঠান প্রবাসীরা। এর আগে এক বছরে বাংলাদেশে এত রেমিটেন্স আর কখনো আসেনি। এটি তার আগের বছরের চেয়ে প্রায় ৩৪০ কোটি ৯৬ লাখ ডলার বা ১৮ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি।

এদিকে রেমিটেন্সের ওপর ভর করেই বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। গত ২ মে প্রথম বার রিজার্ভ ৪৫ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। মাঝখানে কিছুটা কমার পর আবার বাড়তে বাড়তে এখন ৪৫ বিলিয়ন ডলারের ওপরেই অবস্থান করছে রিজার্ভ। মঙ্গলবার দিনশেষে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৫ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলার।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..