সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি: চা দিবসের সংকল্প, শ্রমিকবান্ধব চা শিল্প এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ চা বোর্ড এর উদ্যোগে আগামীকাল রবিবার বর্ণাঢ্য আয়োজনে তৃতীয়বারের মত জাতীয় চা দিবস উদযাপন হতে যাচ্ছে।
এদিকে এবারের জাতীয় চা দিবসের মূল অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে আজ বিকেল সাড়ে পাঁচ ঘটিকার সময় টি রিসোর্ট হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি।
সাংবাদিকদের করা বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি বলেন, দুর্যোগ কাটিয়ে দেশের চা শিল্প ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি জানান শুধু সিলেট বিভাগ নয় এখন পঞ্চগড় ছাড়াও নীলফামারী ঠাকুরগাঁও সহ উত্তরা অঞ্চলে দেশের চাহিদার ১৮ শতাংশ চা উৎপাদিত হচ্ছে।
এদিকে দ্রব্যমূল্য নিয়ে করা আরেক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি বলেন, পিয়াজ এর দাম কিছুটা বাড়তি স্বীক্ষার করে জানান, পিয়াজ আমদানি হয়ে গেলে দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকার ভিতরে চলে আসবে। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম ছাড়াও সিনিয়র সচিব বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এর সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ সহ চা বোর্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে আজ ৪জুন জাতীয় চা দিবস। এ উপলক্ষে আজ রোববার চায়ের রাজধানী মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি আট ক্যাটাগরিতে প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তির হাতে বিশেষ সম্মাননা তুলে দেবেন।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের (পিডিইউ) পরিচালক ড. এ কে এম রফিকুল হক শনিবার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দেশের চা শিল্পের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ চা বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ দেওয়া করা হবে।
আজ রোববার সকাল ১০টায় বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। আট ক্যাটাগরিতে সাতটি প্রতিষ্ঠান এবং একটি ব্যক্তি পর্যায়ে এ পুরস্কার দেওয়া হবে।
ক্যাটাগরির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে আটটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হবে, সেগুলো- একর প্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী চা বাগান, সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনকারী বাগান শ্রেষ্ঠ চা রপ্তানিকারক, শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রায়তন চা উৎপাদনকারী, শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান, বৈচিত্র্যময় চা পণ্য বাজারজাতকরণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান/কোম্পানি, দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্পন্ন চা মোড়কের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা প্রতিষ্ঠান/কোম্পানি এবং শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী (ব্যক্তি/শ্রমিক)।
চা শিল্পের অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান ও অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে জাতীয় চা পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং চলতি বছর এই মহৎ আয়োজনটির ভেন্যু রাখা হয়েছে শ্রীমঙ্গলকে বলে জানান তিনি।
জাতীয় চা দিবস উপলক্ষে এবং শ্রীমঙ্গলে বাণিজ্যমন্ত্রীর সফলকে ঘিরে শ্রীমঙ্গল শহরের বধ্যভূমি ৭১ এর সম্মুখ হতে বিটিআরআই পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার পথ সুসজ্জিত করা হয়। চা বিষয়ক নানান ঐতিহাসিক আলোকচিত্র এবং চা শিল্পকে বিকশিত করার বিভিন্ন অনুপ্রেরণামূলক স্লোগান সম্বলিত নানা রঙের ফেস্টুন ও বিলবোর্ড টানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ চা বোর্ড সূত্র জানায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৪ জুন ১৯৫৭ সালে বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যানের পদ অলংকৃত করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তিনি দেশের চা শিল্পে অসামান্য অবদান রাখেন। চা শিল্পে জাতির পিতার অবদানকে অবিস্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর আজ ৪ জুন জাতীয় চা দিবস পালন করা হয়।