1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১০ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

মৌলভীবাজারে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যায়নে ঘটছে ট্রেন দুর্ঘটনা: উদ্বেগ আর আতংকে হাজার হাজার যাত্রী যাতায়াত

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৩ জুন, ২০২৩
  • ৭৬০ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদক: প্রতিষ্টার শত বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো ট্রেন যাত্রীরা ঝুকি নিয়ে চলছে রেলপথে। সিলেট-আখাউড়া রেলওয়ে সেকশনের মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ (লাউয়াছড়া) অংশের ৮কি: মি: এখন- মৃত্যুপুরিতে পরিনত। উদ্যানের ভেতর উচু নিচু পাহাড় ও গাছপালায় আচ্ছাদিত থাকায় ট্রেন চলাচলে ঝুকি বেড়েই চলছে। রেলের উভয় পাশ্বে ২শত ফুট রেলের ভুমি থাকলেও বন বিভাগ ও রেল বিভাগের রশি টানাটানিতে নিরাপদ রেল ভ্রমনে উদ্বেগ আর আতংক দেখা দিয়েছে। বর্ষা মৌসুমে ঝড় তুফান আর প্রবল বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধবস আর গাছ পড়ে ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। ফলে যাত্রীদের পোয়াতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যেয়নে ১২শ ৫০হেক্টর এলাকার ৮কি: মি: রেল পথে গাছ ও বণ্যপ্রাণী রক্ষার চাইতে রেল যাত্রীদের জীবন বাঁচানো নিয়ে সচেতন মহলে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। উদ্যানের পাহাড় ও গাছ নিয়ে ছিঠি চালাচালি,সভা সমাবেশ হলেও দু’পাশে পাহাড় ও গাছ কর্তনে টানা হেছড়ায় রেল লাইন এখন আতংকের নাম। গত ১০বছরে ছোট বড় ২শতাদিক ট্রেন দুর্ঘটনা ও আটকা পড়ার ঘটনা ঘটেছে। সরজমিনে দেখা যায় দুপাশে দুইশত ফুট ভুমি থাকা সত্বে মাত্র ৫/১৫ফুট দৃশ্যমান। উদ্যানের গাঁ ঘেষে বনজঙ্গল ও উঁচু পাহাড় ধবসে ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে এবং মারাত্বকভাবে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেই সাখে ক্ষতিগস্থ হওয়ার পাশাপশি সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধসহ ট্রেন আটকা পড়ে যাত্রী দুভোগসহ ক্ষয়ক্ষতি হয়ে আসছে। নিরাপদ ভ্রমনের জন্য ট্রেনকেই নিরাপদ মনে করলেও এই ট্রেনই এখন অনিরাপদ ও আতংকের নাম।


হাজারো জীবন নিয়ে প্রতিদিন ছুটছে ট্রেন। ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম রেলপথে পারাবত, জয়ন্তীকা,পাহাড়িকা,উদয়ন,উপবন ও কালনী এক্সপ্রেস নামের ৬টি আন্তঃনগর ট্রেন প্রতিদিন দু’বার করে ১২বার আসা-যাওয়া করে। প্রতিদিন ২০-৩০হাজার যাত্রী চলাচল করলেও এই ঝুকিপুর্ন লাউয়াছড়ার রেলের ভুমি উদ্ধার করা হচ্ছেনা। শুধু তাই নয় এতোসব দুর্ঘটনা ও ট্রেন আটকা পড়ে যাত্রীদের ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে ক্ষয়ক্ষতি হলেও কর্তৃপক্ষ বছরের পর বছর উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে চিটি আর জানিয়েছেন বলেই শেষ। যাত্রীরা রেলপথকে নিরাপদ ভাবলেও এখন মৃত্যুপুরি জেনেও যাতায়াত করছেন। রেলপথটি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও রহস্যজনক কারণে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটলে সেটি গোল টেভিলেই সীমাবদ্ধ। রয়েছে বৈদ্যুতিক লাইনে গাছ পড়ে অসংখ্য বণ্যপ্রাণী ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ক্ষয়ক্ষতি। যাত্রী সাধারণের জীবনের নিরাপত্তা বিধানকল্পে রেলগাড়ি চলাচলে বিপদ বা বিঘœ সৃষ্টিকারী বৃক্ষ অপসারণে রেল কর্তৃপক্ষ “দি রেলওয়েজ এ্যাক্ট,১৮৯০”এর ধারা ১৫মোতাবেক পূর্ণ ক্ষমতাবান। রেলপথের উভয় পার্শ্বে ঝুঁকিপূর্ণ গাছ ও পাহাড় সমূহ অপসারণে কার্যকরী উদ্যোগ না গ্রহণ করেন তাহলে “দি রেলওয়ে এ্যাক্ট,১৮৯০”এর ধারা ১৫এর ক্ষমতাবলে জনস্বার্থে ও যাত্রী সাধারণের জীবনের নিরাপত্তা বিধানের স্বার্থে রেল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী সচেতন মহলের।

স্থানীয় বাসিন্দা একদিকরা দৈনিক মৌমাছি কন্ঠকে বলেন- ট্রেন দুর্ঘটনা আর আটকা পড়া এখন নিয়মিত ঘটনা। রেল ও বনবিভাগের জুড়ালো ভুমিকা না থাকায় দুভোগ পোয়াতে হচ্ছে যাত্রীদের।
লাউয়াছড়া পুঞ্জির বাসিন্দা কয়েকজন জানান- দীর্ঘদিন থেকে শুনে আসছি রেল পথের গাছ গাছালির জব্ধাল নিয়ে। কিন্তুু রহস্যজনক সেটি বাস্তবায়ন হচ্ছেনা। আমরা চাই রেল পথের নিরাপত্তা ও বণ্যপ্রাণীকুল ও যাতে কোন ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেদিকে লক্ষ রেখেই জরুরী ভিক্তিতে উদ্যেগ নেয়া প্রয়োজন।

স্থানীয় সচেতন কয়েকজন দৈনিক মৌমাছি কন্ঠকে বলেন- বন বিভাগ ও রেল বিভাগের উদাসীনতাকেই দায়ি করে বলেন- সরকার চাইলেই রেল লাইনের দুপাশে উচুু পাহাড় ও ঝুকিপুর্ন গাছগুলো একটু দুরে সরিয়ে নিলেই বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতো রেলে যাতায়াতকারীরা।

স্থানীয় রেল ক্রসিং এ দায়িত্বপ্রাপ্ত বলেন- বর্ষা কালে দায়িত্ব পালন কালে দিস রাত চিন্তিত থাকি কখন পাহাড় ধবস বা গাছ পড়ে ট্রেন আটকা পড়ে দুর্ঘটনা বা আটকা পড়ে যায়। বিষয়টি সরকার সু দৃষ্টি দিলে দুর্ঘটনা আর ঘটবেনা আশা রাখি।

এনিয়ে জুয়েল আহমদ. উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী, (আইডøব্লিউ কর্মকর্তা) সিলেট-আখাউড়া রেলওয়ে জংশন মৌলভীবাজার এরিয়া ও সাইফুল হক,উপ সহকারী প্রকৗশলী (পথ),বাংলাদেশ রেলওয়ে সিলেট-আখাউড়া এরিয়া দৈনিক মৌমাছি কন্ঠকে বলেন- শ্রীমঙ্গল থেকে কমলগঞ্জ ১৩কি: মি: এর মধ্যে ৮কি:মি: রেলের উভয় পাশে রেল মন্ত্রনালয়ের কাগজ পত্রে রেকর্য ২শত ফুট থাকলেও এখন- ১০/১৫ফুটের বেশী নেই। ফলে উঢ়ু পাহাড় ও গাছগাছালিতে আচ্ছাদিত হয়ে ট্রেনের দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে বর্ষাকালে পাহাড় ধক্কস আর গাছ পড়ে লাইনে হুমকি হয়ে তাড়িয়েছে। আমরা বার বার বন বিভাগের সাথে লিখিত মতামত জানালে ভুমি উদ্ধারসহ বিপদজনক গাছ কর্তন বাস্তাবায়ন হচ্ছেনা।

এবিষয়ে জাহাঙ্গির আলম, ডিএফও, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ সিলেট বিভাগ দৈনিক মৌমাছি কন্ঠকে বলেন- জাতীয় উদ্যেয়নের ভেতর দিয়ে রেল লাইন ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে। বন ও বণ্যপ্রানী রক্ষায় রেল লাইন সরানোর জন্য এশদিক বৈঠক হয়েছে।

রেল লাইনের উভয় পাশের ভুমি উদ্ধার ও যাত্রীদের জানমাল রক্ষায় সরকার এগ্রিয়ে আসবেন এমনটাই প্রত্যাশা সচেতন মহলের।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..