রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:৫৩ অপরাহ্ন
এম এ রকিব : নবাগত সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেল) মোঃ শহিদুল হক মুন্সী এলাকার সর্বস্থরের জনসাধারনের সহযোগিতা কামনা করেছেন। তিনি পর্যটন এলাকার আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে জুয়া,মাদক,অসামাজিক কার্যকলাপ এর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করার পাশাপশি সন্ত্রাস,চুরি,ডাকাতি,ছিনতাইসহ সবধরনের অপরাধ নির্মূলে পুলিশ প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে পাশে থাকার আহবান জানান।
গত শনিবার একান্ত সাক্ষাতকারে মৌমাছি কন্ঠের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, শ্রীমঙ্গল প্রাকৃতিকগত ভাবেই সুন্দর একটি উপজেলা। পর্যটকরা এ এলাকার সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হন। পাশাপাশি শান্তিশৃঙ্খলার দিক দিয়েও এ এলাকার একটি আলাদা সুনাম রয়েছে। সেটি যেন অব্যাহত থাকে সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন স্থানীয় জনসাধারনের কাছে।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমার প্রথম কাজ হচ্ছে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় জনসাধারন ও এ এলাকায় দেশ-বিদেশ থেকে আহত পর্যটকরা যেন নিরাপদে চলাচল করতে পারে। নিজ গৃহেও যেন মানুষ নিরাপদে বসবাস করতে পারে। নিরাপদ থাকতে হলে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। আশপাশে যদি মাদক, জুয়া ও অসামাজিক কার্যকলাপ চলে তাহলে আমাদেরকে তথ্য দিতে হবে। এসবের ব্যাপারে কোন ছাড় নেই এবং শুন্যের কোটায় নিয়ে আসতে চাই। এছাড়া চুরি, ছিনতাই এবং ডাকাতির যে প্রবণতা আছে সেটার ব্যাপারে রাতে টহল, পাহারা, নজরদারী এবং সোর্সিং জোরদার করতে চাই। শ্রীমঙ্গলবাসী যেন গর্ব করে বলতে পারে এখানে চুরি এবং ডাকাতি হয় না সেই কাজটি করতে চাই। শ্রীমঙ্গলে যোগদানের পর আমি নিজেও রাতে না ঘুমিয়ে রাস্তায় বের হচ্ছি সব জাগায় পাহারাদার আছে কি না সেটা দেখছি এবং তাদেরকে চাঙ্গা রাখার জন্য বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছি।এছাড়া বিট পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে প্রতি রাতে আমার কথা হচ্ছে এবং তাদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে ।
এছাড়া নারী নির্যাতনকারীদের কোনভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। এসব ব্যাপারে আমরা তৎপর আছি। নারীসহ যে কোন ভিকটিমকে সুরক্ষা দেবার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর। চা বাগান পরিবেষ্টিত ও সীমান্ত এলাকার পাশাপাশি শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়িক কেন্দ্রবিন্দু থাকায় এখানকার অপরাধির ধরনটাও ডায়নামিক সেটা মাথায় রেখেই আমরা কাজ করার চেষ্টা করব।
উল্লেখ্য, মোঃ শহিদুল হক মুন্সী গত ৪জুন ২০২১ইং তারিখে তিনি শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেলে যোগদান করেন। এর আগে ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাস থেকে শ্রীমঙ্গলে যোগদানের আগ পর্যন্ত ঢাকাস্থ র্যাব-১০ এ কর্মরত ছিলেন। তার আগে ২০১৭ ইং সালে দীর্ঘ ছয় মাসব্যাপি তিনি মৌলভীবাজারের বিভিন্ন থানায় শিক্ষানিবেশ সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ৩৪তম বিসিএস ক্যাডার হয়ে ২০১৬ ইং সালে পুলিশ বিভাগে যোগদান করেন। তিনি নরসিংদী জেলার রায়পুর উপজেলার পাড়াতলী ইউনিয়নের করইপুর গ্রামের মোঃ হানিফ এর ছেলে। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘মাষ্টার্স অব পুলিশ সাইন্স’ বিষয়ে ২০১৬-২০১৭ ইং সেশনে ‘মাষ্টার্স সম্পন্ন করেন।।