শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৯:০১ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন বলেই দিশেহারা হয়ে সকাল, বিকাল, দুপুরে একেকবার একেক কথা বলছে। তাদের আগামী ৫০ বছরেও রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার সুযোগ নেই।
শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় উদ্ধোধনী বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় হানিফ বলেন, বিএনপি বিরোধী দলে থাকাবস্থায় ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করে জনগণের ওপর বার বার আক্রমণ করেছে। যার ফলে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তারা নানা ধরনের মিথ্যাচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়। তাদের লক্ষ্য একটাই, দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করা। কারণ তারা জানে, উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারা যদি অব্যাহত থাকে, এ দেশের জনগণ সবসময় শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল থাকবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি দেশকে অস্থিতিশীল করার যে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, সে সম্পর্কে সরকার সজাগ আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে কোনও অশুভ তৎপরতাকে রুখে দেওয়ার জন্য যথেষ্ঠ। পাশপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও সজাগ থাকতে হবে। বিশেষ করে বিএনপির মিথ্যাচারে জনগণ যেন বিভ্রান্ত না হয়, সেজন্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ভূমিকা রাখতে হবে। জনগণের কাছে আমাদের উন্নয়ন-অগ্রগতির কথা এবং চিত্রগুলো তুলে ধরতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে- এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য শেখ হাসিনার বিকল্প কেউ নেই, সেটি বলতে হবে।
নতুন নির্বাচন কমিশন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে মাহবুব-উল আলম হানিফ আরও বলেন, বিএনপির এখন নতুন ইস্যু হলো নির্বাচন কমিশন। তারা যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তাদের প্রধানমন্ত্রী তালিকা দিয়েছে আর রাষ্ট্রপতি গেজেট করে পাঠিয়ে দিয়েছে। এটি ছিল তাদের নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়া। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে নির্বাচন কমিশন গঠনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ পন্থা অবলম্বন করেছেন। রাষ্ট্রপতি সব দলের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে পরামর্শ করে তাদের দেওয়া নামের ভিত্তিতে সার্চ কমিটি গঠন করে। সার্চ কমিটির নামগুলো যাচাই-বাছাই করে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। এটাই ছিলো গণতান্ত্রিক পদ্ধতির সবচেয়ে উত্তম পন্থা।