1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

জরুরি ওষুধ ফুরিয়ে আসছে শ্রীলঙ্কায়, সংকট আরও গভীর

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০২২
  • ৩৫৯ বার পঠিত

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক :: অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক গোলযোগের মধ্যে পড়ে নাভিশ্বাস উঠে গেছে শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষের। খাদ্যপণ্যের আকাশচুম্বী দাম, লোডশেডিং, জ্বালানি তেলের সংকট, পানি সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে দেশটিতে। দৈনন্দিন জীবনযাপন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের। এর মাঝে দেশটির চিকিৎসকরা সতর্ক বার্তা দিলেন, হাসপাতালের সব জরুরি ওষুধ শেষ হয়ে আসছে, শিগগির বন্ধ হতে চলেছে জরুরি অপারেশন কার্যক্রম।

শ্রীলঙ্কা মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, দেশের হাসপাতালগুলো চিকিৎসার জন্য জরুরি বিদেশি ওষুধ ও সরঞ্জাম পাচ্ছে না। ফলে নিয়মিত সার্জারি একেবারে অসম্ভব হয়ে উঠেছে। এ অবস্থা আর কিছুদিন চলতে থাকলে, জীবনদায়ী সার্জারিও বন্ধ করে দিতে হবে।

এদিকে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে কার্যালয় ঢোকার পথ এখন বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে। দুইদিন ধরে বিক্ষোভকারীরা নিজেদের দখলে রেখেছে বলে জানা গেছে। বৃষ্টির মধ্যেও রেইনকোট, ছাতা নিয়ে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নিয়েছেন। অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোতায়েন রয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা সদস্য।

ব্ল্যাকআউট, খাদ্য, জ্বালানি এবং ওষুধ সংকটে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে সাধারণ মানুষ গত কয়েক দিন ধরে বাধ্য হয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেমেছে। ১৯৪৮ সালে দেশটি স্বাধীনতা লাভের পর এই প্রথম এতটা বিপর্যয়ে পড়েছে দেশটি।

চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সংকট নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আমাদেরকে খুব কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। আমাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কে চিকিৎসা পাবেন আর কারা পাবেন না। প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসকে পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করে চিঠিতে জানানো হয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যে সরবরাহ বাড়ানো না গেলে, মৃত্যুর সংখ্যা করোনা মহামারির চেয়েও খারাপ খারাপ হবে।

২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে শ্রীলঙ্কার বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ৭০ শতাংশ কমে গেছে। এর ফলে কলম্বো বাধ্য হয়েছে মুদ্রার মূল্য কমাতে এবং বৈশ্বিক ঋণদাতাদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে। হিমশিম খাচ্ছে জরুরি খাদ্য ও জ্বালানি আমদানিতে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে, সপ্তাহান্তে জ্বালানি তেলের জন্য দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অন্তত দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। রান্নার জ্বালানি গ্যাসের দাম এক হাজার ১৫০ রুপি থেকে বেড়ে চার হাজার ছাড়িয়েছে। শিশুখাদ্য গুঁড়ো দুধ বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। অর্থের অভাবে কাগজ ছাপা বন্ধের ফলে কয়েক লাখ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে সরকার।

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..