1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১২ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

শেরপুর বাজারের অধিকাংশ রাস্তায় রাস্তায় হাঁটুসমান পানি

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৩ মে, ২০২২
  • ১৭২ বার পঠিত

শেরপুর প্রতিনিধি :: একটু বৃষ্টি হলেই মৌলভীবাজারের শেরপুর বাজারের অধিকাংশ রাস্তায় রাস্তায় হাঁটুসমান পানি জমে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও জলাবদ্ধতা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে দিনের পর দিন। এতে চলাচলের ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শেরপুরবাসী। পানিতে ডুবে থাকা সড়কের গর্তে পড়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার না করায় ও যথাযথ স্থানে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এই দুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে বলে মন্তব্য করছেন স্থানীয় সচেতনমহল।

অন্যদিকে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের চিত্র প্রকট আকার ধারণ করলেও পানি নিষ্কাশনের যথাযথ ব্যবস্থায় স্থানীয় প্রশাসন তথাপি কারোর নজর নেই শেরপুরবাসীর দূর্ভোগ লাঘব করতে।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) সরজমিন ঘুরে দেখা গিয়েছে- জলাবদ্ধতায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন শেরপুর বাজারের আবাসিক এলাকা রোডের বাসিন্দারা। ঐ এলাকায় বৃষ্টির পর জলাবদ্ধতার কারণে অনেক সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সামান্য বৃষ্টিতেই এখানে হাঁটুসমান পানি জমে যায়। অথচ এসড়ক দিয়ে হাজার হাজার মানুষের প্রতিদিন যাতাযাত করতে হচ্ছে। এরমধ্যে রয়েছে স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসা পড়–য়া শিক্ষার্থীরাও। সড়কে জলাবদ্ধতায় তাদের দুর্ভোগও সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ার মতো। এমনকি এলাকায় জলাবদ্ধতায় জমে থাকা পানি কখনো কখনো ঢুকে পড়ছে রাস্তার পাশের দোকানপাটে। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। শেরপুর বাসীর অভিযোগ, এমন ভোগান্তিতে তাদের প্রতিবছর পরতে হয়। অদূরে কূশিয়ারা নদী থাকলেও কার্যকর ড্রেনেজব্যবস্থার অভাবে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে এই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।

এমন দুর্ভোগের বিষয়ে এহিয়া আহমেদ নামের এক বাসিন্দা বলেন, বৃষ্টির পর পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে সড়ক থেকে পানি নামতে। আবাসিক এলাকা সড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার মানুষের যাতায়াত হয়ে থাকে। এই এলাকায় কোনো উন্নত হাসপাতাল না থাকায় এলাকার মানুষের একমাত্র নির্ভর করতে হয় মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের উপর। কিন্তু সড়কের এমন বেহালা দশার কারণে ঐ সড়ক দিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা বিপাকে পড়তে দেখা যায়। একদিকে রাস্তার বেহাল দশা ও অন্যদিকে যথাযথ পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই পানিতে রাস্তা তলিয়ে যায়। এটা শুধু আবাসকি এলাকা নয় পুরো শেরপুর বাজারজুড়ে এমন চিত্র হরহামেশার।

সাংবাদিক আব্দুস সামাদ আজাদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখ সমরস্থল, শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল, সড়ক ও নৌ যোগাযোগের জন্য সিলেট বিভাগের মধ্যমণি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর বাজার দেশব্যাপী একটি আলোচিত নাম। এই গুরুত্বপুর্ণ স্থলের মুক্তিযোদ্ধা চত্ত¡র এলাকাধীন মৌলভীজারগামী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ও আফরোজগঞ্জ পোস্ট অফিসের সম্মুখস্থল ময়লা ও আর্বজনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই ঐ আবর্জনা পুরো বাজার এলাকায় বৃষ্টির পানিতে ভেসে বেড়ায়। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে ভাসমান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ভাসমান ব্যবাসায়ীদের ফেলা ময়লা আবর্জনায়ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে বৃষ্টি হলেই ঐ ময়লা পানিতে ভেসে বেড়ায়। যার ফলে মানুষের ভয়ংকর রোগ-জিবানু ছড়ানোর আশঙ্কা বিরাজ করছে। তাই এলাকার মানুষের জনদূর্ভোগের সীমা নেই। এতে সচেতন মহলসহ তিনি মনে করেন পুরো শেরপুর বাজার এলাকার সড়কের পাশে প্রশস্ত ড্রেনেজ করা খুবই জরুরি।

স্থানীয় মুজিবুর রহমান বলেন, আবাসিক এলাকায় পরিকল্পনা অনুযায়ী ড্রেনেজব্যবস্থা না করায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। আর এতে স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই। দীর্ঘদিন ড্রেনগুলো পরিষ্কার না করায় ড্রেনের ওপর ময়লা-আবর্জনা জমে পানি নিষ্কাশনব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এজন্য সামান্য বৃষ্টিতে এই রাস্তা খালে পরিণত হচ্ছে। সড়কদিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা যাওয়া করা প্রসুতি মহিলা ও প্রতিবন্ধীসহ স্থানীয় বাসিন্দাদেরও চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

এব্যাপারে খলিলপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু মিয়া চৌধুরীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি  জানান, আপাতত ইউপি অফিসে ঐ এলাকার নামে কোনো বরাদ্দ নেই। তবে বরাদ্দ আসলে আমরা সাথে সাথে ঐ এলাকার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..