বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ১০:০০ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: ভারতের কাশ্মীরে বারামুল্লা জেলার উরি এলাকায় চিতাবাঘের হামলায় তিন শিশু নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার চিতাবাঘটিকে মানুষ-খেকো উল্লেখ করে বারামুল্লার জেলা প্রশাসক (ডিসি) সৈয়দ সেহরিশ আসগার সংশ্লিষ্ট কয়েকটি দপ্তর কর্তৃপক্ষকে একত্রিত হয়ে চিতাবাঘটি ধরার নির্দেশ দেন। জীবন্ত ধরতে না পারলে চিতাটিকে হত্যার নির্দেশও দেন তিনি।
শিশু হত্যার তিনটি আলাদা ঘটনা উত্তর কাশ্মীরের জেলা উরির কালসান ঘাঁটি এবং বোনিয়ার এলাকায় হয়েছে।
ডিসি আসগর বলেন, তার প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকের সময় এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। যাতে আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে সমন্বয় করার পাশাপাশি প্রয়োজনে সামরিক/আধাসামরিক বাহিনীর সহায়তা নেয়ারও নির্দেশ দেন তিনি। যাতে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে চিতাটিকে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।
চিতাটি ধরা না পরা পর্যন্ত স্থানীয় মানুষকে তাদের সন্তানদের একা এবং অপ্রয়োজনে লোকালয় থেকে দূরে বা বনে যেতে না দেয়ার পরামর্শও দেন তিনি।
গত বছর ১৯ সেপ্টেম্বর শ্রীনগরে ৮ বছরের একটি ছেলে শিশুকে আক্রমণ করে একটি চিতাবাঘ। শিশুটিকে কামড়ে টেনে-হিঁচড়ে বনে নিয়ে যায় বাঘটি। পরে স্থানীয়রা তাড়া দিলে পালিয়ে যায় চিতাটি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
দেশটির চা-বাগানে, এমনকি লোকালয়ে চিতাবাঘ ঢুকে পড়া নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গেল সপ্তাহে মেটেলি ব্লকের ইনডং চা বাগানে এক নারী চা-শ্রমিকের ওপর হামলা চালায় চিতা। এ ঘটনায় গুরুতর জখম হন তিনি। পরে অন্য শ্রমিকরা এগিয়ে এলে চিতাটি বনের দিকে পালিয়ে যায়।
দেশটিতে বছরে কত মানুষ চিতাবাঘের হামলায় নিহত হয় তার সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।