শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত আলমগীর হোসেন (২৫) ও ফজলু মিয়ার (২৫) দুজনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ সোমবার (২৭ জুন) দুপুরে বিনা ময়নাতদন্তে মর্গ থেকে শাহবাগ থানা পুলিশ মরদেহ দুটি হস্তান্তর করে।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দিপক বালা জানান, তাদের পরিবারের আবেদনেই ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দুটি হস্তান্তর করা হয়। দুপুরেই স্বজনরা মর্গ থেকে মরদেহটি নিয়ে গ্রামের বাড়ি নবাবগঞ্জের উদ্দেশ্যে চলে যান।
আলমগীর হোসেনের বড় ভাই রমজান মিয়া জানান, তাদের বাড়ি নবাবগঞ্জ সামসাবাদ এলাকায়। তাদের বাবার নাম চিনু মিয়া ও মা সুফিয়া বেগম। বাগমারা এলাকায় একটু মোটরসাইকেল গ্যারেজ মেকানিকের কাজ করতো আলমগীর। ৫ ভাই ২ বোনের সে ছিল সবার ছোট। রোববার (২৬ জুন) বিকেলে কাউকে কিছু না বলেই ঘুরতে গিয়েছিল সে। রাতে তার বন্ধুদের মাধ্যমে দুর্ঘটনার খবর পান তারা। পরে হাসপাতালে গিয়ে আলমগীরের লাশ দেখতে পান।
আলমগীরের মা সুফিয়া বেগম আহাজারি করে বলেন, ‘এই ব্রিজ দেখতে যাইয়া আমার পুলাডা মরলো, আগে জানলে ওরে কোনোদিনও যাইতে দিতাম না। কিসের জন্য গেলিরে বাবা’।
এদিকে, ফজলু মিয়ার মামাতো ভাই আলী হোসেন জানান, মা ফজিলা বেগমকে নিয়ে নবাবগঞ্জের হরিশকুল গ্রামে থাকতেন অবিবাহিত ফজলু। তার বাবা আবু মিয়া অনেক আগেই মারা গেছেন। একমাত্র সন্তান ছিলে সে। বেশ কয়েক বছর ইরাকে প্রবাস জীবন কাটিয়ে ৩/৪ মাস আগে দেশে ফিরে সে। রোববার বিকালে তার নিজের মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। কোথায় যাবে তা কাউকে বলে যায়নি। রাতে সংবাদ পান বন্ধুদের সাথে পদ্মা সেতু দেখতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে।
এর আগে গতকাল রোববার (২৬ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পদ্মা সেতুর উপরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয় ফজলু ও আলমগীর। পরে তাদেরকে একটি পিকআপযোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসক দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
তাদের দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা বন্ধু জয়দেব রায় জানান, তারা তিনটি মোটরসাইকেলে ৬ বন্ধু মিলে সেতুতে ঘুরতে যান। ফেরার সময় সেতুতেই তাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দুর্ঘটনার খবর পান। সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে একটি পিকআপভ্যানে করে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন।