শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০২:৩১ পূর্বাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক : ফুটবলে একটা মেজর শিরোপার জন্য ইংল্যান্ড দলের আক্ষেপ অনেক বছর ধরে। হ্যারি কেইনরা না পারলেও অবশেষে নারীদের হাত ধরে আক্ষেপ ঘুচল। ১৯৬৬ সালে জার্মানিকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয় করেছিল ইংল্যান্ড। এরপর কেটে গেছে ৫৬ বছর, দীর্ঘ এই সময়ে ইংল্যান্ডের পুরুষ এবং নারী ফুটবল দল বেশ কয়েকবার বিশ্ব এবং ইউরোপসেরা হওয়ার দ্বারপ্রান্তে এসেও শিরোপা ছুঁয়ে দেখতে পারেনি। উইমেন’স ইউরোর রেকর্ড আটবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে হারিয়ে ইউরোপ সেরার মুকুট পরল ইংল্যান্ড নারী দল।
লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে ২-১ গোলে জিতেছে ইংল্যান্ড। রেকর্ড ৮৭ হাজার ১৯২ জন্য দর্শকের উপস্থিতিতে ঘরের মাঠে ইতিহাস গড়ল এলা টুনরা।
প্রথমার্ধে ম্যাচ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের ৬২ মিনিটে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দেন টুন। শিরোপার পথে হাটা ইংল্যান্ডকে খানিকের জন্য থামিয়ে দেন জার্মান ফুটবলার লিনা ম্যাগাল। ৭৯ মিনিটে ইংলিশ রক্ষণকে হতাশ করে জার্মানিকে সমতায় ফেরান তিনি। ১-১ গোলে নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
ম্যাচের ১১০তম মিনিটে ইতিহাস রচনার পথ গড়েন ক্লোয়ি ম্যাগি কেলি। আর তাতেই পুরো স্টেডিয়াম আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে পড়ে।নারী ফুটবলের ইতিহাসে এটাই ইংলিশদের প্রথম শিরোপা। ম্যাচের বাকিটা সময় ওই ব্যবধান ধরে রেখে ইউরোপ জয়ের উৎসব শুরু করে পুরো ইংল্যান্ড।
১৯৬৬ বিশ্বকাপে জিওফ হার্স্ট-ববি চার্লটনদের সেই সাফল্যের পর ইংল্যান্ডের পুরুষ কিংবা নারী দল রোববারের আগ পর্যন্ত আর কোনো মেজর শিরোপা জিততে পারেনি। গত বছর পুরুষ ইউরোর ফাইনালে এই ওয়েম্বলিতেই ইতালির কাছে টাইব্রেকারে হেরে যায় গ্যারেথ সাউথগেটের দল। অবশ্য এবার নারীরা ভুল করেনি, ঘরের মাঠে শিরোপা জিতে ইতিহাস রচনা করল।
৬ গোল এবং ৫ অ্যাসিস্টের সুবাদে গোল্ডেন বুট এবং আসর সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন ইংল্যান্ডের বেথ মিড।