বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:৪১ অপরাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি : বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের গজভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রবেশ রাস্তার অর্ধেকের চেয়েও বেশি অংশে বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন আব্দুর রহমান নামক এক স্কুল স্থানীয় বাসিন্দা। বাঁশের বেড়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় কোমলমতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা স্কুলে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোয়াচ্ছেন। এছাড়াও নুরুল ইসলাম নামক আরেক ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্কুলের দক্ষিণ দিকের ভূমি দখলের অভিযোগ ওঠেছে। এব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক, স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও এলাকাবাসি গত ১৯ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
প্রধান শিক্ষক আপ্তাব আলী, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ সদস্যবৃন্দ ও এলাকাবাসি স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত গজভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর দিকের প্রায় ১০ ফুট প্রশস্ত রাস্তা দিয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষকবৃন্দ ও অভিভাবকবৃন্দ স্কুলে প্রবেশ করেন। রাস্তার দক্ষিণে প্রবেশমূখে রয়েছে স্কুলের প্রধান ফটক। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই রাস্তা ব্যবহার করেই সবাই স্কুলে যাতায়াত করছেন। প্রায় এক বছর পূর্বে হঠাৎ প্রবেশ রাস্তাটির অর্ধেকেরও বেশি অংশে বাঁশের বেড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহমান। ৬-৭ মাস অতি সরু রাস্তায় স্কুলে যাতায়াত করতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি পেতে হয়েছে। অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে প্রধান ফটক পর্যন্ত রাস্তাটি উন্মুক্ত করা হলেও গত জুন মাসে রাতের আধারে আব্দুর রহমান পুনরায় বাঁশের বেড়া দেওয়ায় আবারও যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে। এছাড়া স্থানীয় নুরুল ইসলাম বিদ্যালয়ের দক্ষিণ দিকের মাটি কেটে কৃষি জমিতে রূপান্তর করে বিদ্যালয়ের সরকারি ভূমি দখল করেছেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুর রহমান দৈনিক মৌমাছি কন্ঠকে জানান, প্রতিষ্ঠা লগ্নে স্কুলে প্রবেশের কোন রাস্তা ছিল না। প্রতিষ্ঠাতারা স্কুলের পতিত ভূমি বদলা দিয়ে রাস্তার জন্য তার মালিকানাধীন কিছু ভূমি নিয়েছিলেন। প্রায় এক বছর আগে ব্যক্তিগত আক্রোশে প্রধান শিক্ষক জরিপমাপ করে বদলা ভূমি স্কুলের দখলে নেওয়ায় তিনি তার মালিকানাধীন ভূমির সীমানায় বাঁশের বেড়া দিয়েছেন। স্কুলের ভূমিতে তিনি কোন বেড়া দেননি এবং বেড়া দেওয়ায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে কোন সমস্যা হচ্ছে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুনজিত কুমার চন্দ দৈনিক মৌমাছি কন্ঠকে জানান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মীর আব্দুল্লাহ আল মামুনের সুপারিশকৃত স্কুলের প্রবেশ রাস্তায় বেড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা ও সরকারি ভূমি দখলের একটি অভিযোগ পেয়েছেন। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিনি সহকারি কমিশনার (ভূমি)-কে বলে দিয়েছেন।