বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:০৯ পূর্বাহ্ন
আব্দুর রাজ্জাক রাজা : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের এনটিসির আওতাধীন মাধবপুর চা-বাগানের ভেতরে থাকা মাধবপুর লেক পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দিয়েছেন বকেয়া মুজরীর দাবীতে কাজে না য়াওয়া আন্দোলনরত চা-শ্রমিকেরা। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চা-বাগান ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) শ্রমিকেরা বুধবার সকাল থেকে পর্যটক ও স্থানীয় লোকজনকে ঢুকতে দিচ্ছেন না। ফলে দুর দুরান্ত মাধবপুর লেকে ঘুরতে আসা পর্যটকদের লেক না দেখেই ফিরে যেতে হয়েছে। গত ২০ অক্টোবর থেকে বকেয়া মজুরির দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন এনটিসির ফাঁড়ি বাগানসহ ১৬টি চা-বাগানের শ্রমিকেরা। আন্দোলনরত শ্রমিকেরা জানান, তাঁদের প্রাপ্য মজুরি না পেলে কাজে যোগ দেবেন না এবং এসব সরকারি বাগানগুলো কোনো ধরনের পর্যটকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। পর্যটক নাইম হোসেন ও হাসান আল মামুন বলেন,মাধবপুর লেকের কথা অনেক শুনেছি। আজ পরিবার নিয়ে ঘুরে দেখার জন্য এলাম। এখন দেখি, লেকে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনেক অনুরোধ করেও ভেতরে যেতে পারলাম না। তাই মাধবপুর লেকের সামনে থেকে ঘুরে যাচ্ছি। মাধবপুর চা-বাগানের শ্রমিক লক্ষন বলেন, শ্রমিকেরা অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। কার ও ঘরেই খাবার নেই। আমরা আর কত দিন এভাবে চলব ? এখানে লেকে পর্যটক ঢুকলে টিকিট কাটতে হয়। সেই টিকিটের টাকাও মালিক পক্ষ পান। তাঁরা এগুলো নিয়ে যান। এ জন্য আজ থেকে আমরা সব বন্ধ করে দিয়েছি। সকাল থেকে অনেকেই এসেছেন। আমরা কাউকেই ঢুকতে দিইনি।
বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের মনু ধলাই ভ্যালির সভাপতি ধনা বাউড়ি বলেন, শ্রমিকেরা তিন মাস ধরে মজুরি পাচ্ছেন না। খেয়ে না–খেয়ে জীবনযাপন করছেন। বুধবার সকাল থেকে মাধবপুর চা-বাগানের শ্রমিকেরা পর্যটকদের লেকে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। আমরা শ্রমিকেরা যেহেতু কর্মবিরতিতে আছি, লেকের সিকিউরিটি (নিরাপত্তা) কে দেবে ? এর চেয়ে বন্ধ থাকা ভালো। তা ছাড়া লেকের টিকিটের টাকাও মালিক পক্ষ নিয়ে যাচ্ছে।’ কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়নাল আবেদীন বলেন, শুনেছি, মাধবপুর লেক পর্যটকদের জন্য শ্রমিকেরা বন্ধ করে দিয়েছেন। আমি স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।