শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩২ অপরাহ্ন
জয়নাল আবেদীন: কমলগঞ্জ উপজেলার ডানকান ব্রাদার্স আলীনগর ফাঁড়ি সুনছড়া ও কামারছড়া চা বাগানের বিভিন্ন সেকশন থেকে কাটা হচ্ছে গাছ। বনবিভাগের অনুমতি ছাড়া এই দুই বাগানে নিধন হচ্ছে মূল্যবান প্রজাতির চায়াবৃক্ষ। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চা শিল্প।সরেজমিনে দেখা যায়, আলীনগর চা বাগানের ফাঁড়ি সুনছড়া চা বাগানের সড়কধারে চায়ের টিলার পাশ থেকে কয়েক দিনের ব্যবদানে দু’টি বৃহদ গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এভাবে চা বাগানের বিভিন্ন টিলার বিভিন্ন সেকশন থেকে গাছ কেটে নেয়া হয়। গাছ কাটার পর গুড়া মাটি কিংবা লতাপাতা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। একইভাবে আলীনগরের ফাঁড়ি কামারছড়া চা বাগানের বিভিন্ন টিলা থেকেও গাছ কাঁটা হচ্ছে। এ ছাড়াও চা বাগানের শ্মশানালয় এলাকায় গর্জন প্রজাতির বৃহদাকার ২৫ থেকে ৩০টি গাছ কর্তন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গাছের কিছু খন্ডাংশ পাচারের সময় বনবিভাগ ৬০ ঘনফুট কাঠ জব্দ করে। এতে গাছশুন্য চায়ের টিলাভুমি। কামারছড়া চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি দিলিপ জানান, শ্মশানঘাটের মন্দিরের কাজের জন্য ম্যানেজারের সাথে কথা বলে কিছু গাছ বিক্রি করা হয়েছে। কাগজপত্র না থাকায় ২ লাখ টাকায় একশ’র কিছু বেশি গাছ বিক্রি করেছি। অভিযোগ বিষয়ে ডানকান ব্রাদার্স আলীনগর এর ফাঁড়ি সুনছড়া ও কামারছড়া চা বাগানের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী ব্যবস্থাপক ফারুক আহমদ বলেন, সুনছড়ায় শ্রমিকদের বসতগৃহে কাজের জন্য গাছ কাটা হয়েছে। কামারছড়ায় গাছ কাটা হলে পুলিশের মাধ্যমে বাঁধা দিয়ে তা আটকানো হয়েছে। কখনও এসব বিষয়ে কাউকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়না।
কমলগঞ্জের রাজকান্দি বনরেঞ্জ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে কিছুদিন আগে পৌরসভার একটি স্থান থেকে প্রায় ৬০ ঘনফুট কাঠ আটক করা হয়। পরে জানতে পারি এগুলো কামারছড়া চা বাগানের। চা বাগানের গাছ কাটতেও বনবিভাগের অনুমতি লাগলেও সুনছড়া ও কামারছড়া চা বাগানে গাছ কাটার বিষয়ে কোন অনুমতি নেই বলে তিনি জানান।