শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২০ পূর্বাহ্ন
রাজনগর প্রতিনিধি: রাজনগরে ঘুর্ণিঝড়ে সহস্রাধিক বাড়িঘরসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রলয়ঙ্কারী ঝড়ে গাছ ও ঘরের চালা পড়ে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। মুজিব বর্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরও বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘরের দেয়াল ফেটে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাত সাড়ে ৮ টায় হঠাৎ করে রাজনগরের উপর দিয়ে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়। এতে উপজেলার ফতেপুর, উত্তরভাগ, মুন্সিবাজার, টেংরা, মনসুরনগর, পাঁচগাঁও ও সদর ইউনিয়নের সহস্রাধিক ঘরবাড়ির ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঝড়ের সময় গাছ ও ঘরের চালা পড়ে প্রায় ৩০ জন আহত হয়। এরমধ্যে আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অন্তত ১০-১২ জন চিকিৎসা নিয়েছেন।
সরেজমিনে মনসুরনগর ও রাজনগর ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কোনো কোনো ঘরের টিন উড়ে গেছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চালা উড়িয়ে নেয়ায় দোকানে থাকা মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। বেশকিছু পোল্ট্রি শেড ও গবাধিপশুর খামারের চালা উড়ে গেছে। ঝড়ে বড় বড় গাছ উপড়ে পড়ায় পাকাঘরও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বিদুৎ লাইনের উপর গাছ পড়ায় উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন আছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের কমলারাণির দিঘির পাড়ে নির্মিত মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের চালাও উড়ে গেছে। ঘরের দেয়ালে ফাটল দেয়ায় বাসিন্দারা আতঙ্কেও মধ্যে রয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন তাৎক্ষণিক মিস্ত্রী দিয়ে মেরামতের কাজ করাচ্ছে। এখানে মোট ১৩টি পরিবার বসবাস করছে। ঘরগুলোতে নিন্মমানের কাজ হয়েছে বলে বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষকৃত শাকসবজির ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উত্তরভাগ ইউপি চেয়ারম্যান শাহ শাহিদুজ্জামান ছালিক জানান, তার ইউনিয়নে অসংখ্য ঘরবাড়ির চালা উড়ে গেছে। গাছপালা পড়ে বিদ্যুৎ লাইনের ব্যপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস জানান, তার ইউনিয়নে প্রায় ৪০০ ঘরবাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থরা খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা পাল বলেন, ঝড়ে ১ হাজার ১৯০ টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে ইউপি চেয়ারম্যানরা জানিয়েছেন। সহস্রাধিক গাছপালা উপড়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ লাইনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে তাৎক্ষণিক কিছু ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি জানিয়েছি। বরাদ্দ পেলে আরো সহযোগিতা করা হবে।