শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪২ পূর্বাহ্ন
সাইফুল ইসলাম সুমন :: মৌলভীবাজারের জুড়ীতে জুড়ী-নদীর কন্টিনালা অংশের রাবার ড্যাম সংলগ্ন স্থানে অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ নির্মাণ করায় নদী শাসন সহ হাজার হাজার একর কৃষি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। ইতিমধ্যে অপরিকল্পিত বাঁধ টি অপসারণের দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেছেন এলাকাবাসী। এদিকে শনিবার সকালে ভুক্তভোগী কৃষকরা বাঁধটি দ্রæত অপসারণের দাবিতে বাঁধের উপর দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেছে।
জানা যায়, মাস দুয়েক পূর্বে জুড়ী নদীর কন্টিনালা অংশের রাবার ড্যাম সংলগ্ন স্থানে তৈয়ব আলী গংদের নিকট থেকে ১৫ শতক জমি ক্রয় করে মূল নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে দেওয়া হয়। আর একই স্থানে মূল নদীর উপর অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ফলে হাজার হাজার একর কৃষিজমি বিরান ভূমিতে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কৃষিজমি বিরান ভূমিতে পরিণত হওয়ার পাশাপাশি হাকালুকি হাওর হুমকির মুখে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
মানববন্ধনে কৃষকরা বলেন, জায়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মাসুম রেজা শাহপুর গ্রামের কিছু সংখ্যক লোক নিয়ে এ বাঁধটি নির্মাণ করেন। তখন ইউপি চেয়ারম্যান জানিয়েছিলেন একটি ঘোলা হলেই মূল বাঁধটি কেটে দেওয়া হবে। কিন্তু অদ্যবধি বাঁধটি কেটে না দেওয়ায় জুড়ী নদীর গতিপথ যেমন বদলে গেছে তেমনি হাজার হাজার কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে।
উপস্থিত কৃষকরা আরোও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নদী রক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন কিন্তু আমাদের জুড়ী নদীতে একটি অসাধু পক্ষ নদীর উপর বাঁধ নির্মাণ করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে উপেক্ষা করছেন। এ অবৈধ বাঁধ অপসারণের পূর্ব পর্যন্ত আমরা আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
বাঁধ নির্মাণকারীর অন্যতম শাহপুর এলাকার শাহিন খান বলেন, আমাদের কয়েকটি এলাকার বেশ কিছু জমি গভীর হওয়ায় ফসল উৎপাদন করা যায় না। যার ফলে আমরা কিছু জমি ক্রয় করে এই স্থানে নিজ অর্থায়নে একটি বাঁধ নির্মাণ করি এবং বাঁধের পাশ দিয়ে একটি খাল খনন করি যাতে পলিমাটি এসে আমাদের এই জমি গুলো কিছুটা বরাট হয়। বাঁধ নির্মাণ, জমি ক্রয় ও খননকাজে আমাদের প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়।
এ ব্যাপারে জায়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মাসুম রেজা জানান, কিছু জায়গা ক্রয় করে খালটি খনন ও বাঁধটি সাময়িক নির্মাণ করেছেন শাহপুর এলাকাবাসী। প্রয়োজনে যেকোনো সময় বাঁধটি অপসারণ করা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবি) মৌলভীবাজার জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আক্তারুজ্জামান বলেন, চলমান নদীর উপর বাঁধ নির্মাণ অবৈধ। যারা নদীর উপর অবৈধ ভাবে বাঁধ দিয়ে নদীর গতি পরিবর্তন করেছে আমরা খোঁজ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব এবং দ্রæত বাঁধ অপসারণের ব্যবস্থা করব।