বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন
আফতাব চৌধুরী :: এখন সবাই অনুধাবন করছেন যে-বিভিন্ন ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি ছাড়া মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন। শুধু বিদেশ থেকে আমদানী করে দেশের খাদ্যদ্রব্য তথা অন্যান্য পণ্যের চাহিদা মেটানো বা মূল্যহ্রাস কোনভাবেই সম্ভব নয়। তাই স্ব-স্ব অবস্থানে থেকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আন্তরিকতার সাথে কৃষি শিল্পসহ অন্যান্য খাতে উৎপাদন বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। জনভারে জর্জরিত এ দেশে জনগণের চাহিদা পূরণে উৎপাদন বৃদ্ধির বিকল্প পথ নেই।
কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশের অর্থনীতিতে স্বাবলম্বনের ভিত্তি কৃষি। এদেশের তিন চতুর্থাংশ মানুষ কৃষি নির্ভর। কৃষিকে উপেক্ষা করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অসম্ভব। কৃষি উন্নয়নে সরকার ও বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থা বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নতি ও অগ্রসরতার তাগিদে আমাদের প্রাথমিক কর্তব্য অর্থনৈতিক স্বাবলম্বন, সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনাকে বাস্তবায়নের সুযোগ নিয়ে গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে যথার্থ আত্মনিবেদন। প্রবল জনবিস্ফোরণ ও ক্রমবর্ধমান বেকার সমস্যায় স্ব-নির্ভরতা জরুরী। এমতাবস্থায় কৃষিক্ষেত্রে চাপ বাড়ছে। কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তিবিদ্যা কৃষির মান উন্নয়নের পাশাপাশি কৃষিজাত উৎপাদনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রযুক্তিবিদ্যায় সফলতা ও সুফলকে কাজে লাগিয়ে দেশের অনেক শিক্ষিত বেকার আজ স্বাবলম্বী, প্রতিষ্ঠিত ও সফল। বেকারত্ব দূর করতে চাকরির মোহ ত্যাগ করে তারা নানাভাবে কৃষি, মৎস্য উৎপাদনে নিজেদের নিয়োজিত করে চলেছে।
অন্যদিকে আজকাল অনেক শিক্ষিত যুবক-যুবতী সরকারী চাকুরির পিছনে ধেয়ে ক্লান্ত। তারা অনেকেই ভুলে যান, শিক্ষা শুধু চাকরির ভিত নয়, শিক্ষা জীবনের আলো। শিক্ষিত সমাজ ভুলে যান সীমিত সরকারি ব্যবস্থায় অজস্র চাকরি প্রদান অসম্ভব। অজস্র চাকরি প্রার্থীর ভিড়ে তাই সরকার দিশেহারা এবং সরকারী আমলাদের কেউ কেউ প্রার্থীদের প্রতিযোগিতার সুযোগে দুর্নীতিপরায়ণ। ফলে, প্রতিযোগিতার নামে দুর্নীতি বাড়ছে, সমাজ অবক্ষয়ের দিকে যাচ্ছে যুবক যুবতীরা ক্লান্তিতে ভুগছে। হোঁচট খেয়ে অর্থনৈতিক সংস্কার এক বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। প্রতিযোগিতার রেশক্রমে আলস্য, জিঘাংসা, হিংস্র লালসারূপ সমাজে চোরাকারবার, কালো টাকা, জঙ্গি তৎপরতা এবং শোষণ ও অত্যাচার মাথাচাড়া দেয়। এসব নিশ্চয় সভ্যতার পথে অশনি সংকেত। বাস্তবমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা তাই আজ একান্ত জরুরি।
এ অবক্ষয়ের যুগেও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষি কার্যকরী ও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে চলছে। তথাকথিত শিক্ষিতদের বাদ দিলেও গ্রামীণ মানুষের যথার্থ যোগদান প্রতিকূল অবস্থাতেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য রক্ষায় সাড়া জাগানো ভূমিকা নিয়ে চলেছে। গ্রামীণ শিক্ষিত যুবকেরা অনেকাংশে কৃষি এবং কৃষিভিত্তিক শিল্পের প্রতি ঝুঁকছেন। ফলে বাস্তবে তারা আজ স্বাবলম্বী হবার চেষ্টা করছেন। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভারসাম্য গড়ে তোলায় সহায়তা করছে। কৃষিক্ষেত্রে তাদের আরো অবাধ যোগদান দেশকে অবশ্যই ভবিষ্যতে এক উন্নত দেশের মর্যাদা দিতে পারে, কারণ কৃষিকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
এখন দেশের কৃষি, অর্থনৈতিক ও জনসংখ্যার দিকে দৃষ্টি দেয়া যাক। দেখা যায়, দেশের গ্রামে-গঞ্জে জনসংখ্যার চাপ অনেক বেশী এবং কৃষিক্ষেত্রে তার প্রভাব যথেষ্ট। শিল্প ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কৃষিতেও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উন্নয়ন জরুরি। রাজনৈতিক অস্থিরতা ব্যর্থ রাজনীতি, সরকারি ভ্রান্তনীতি, পাহাড়ী প্রতিকূলতা, প্রবল জনবিস্ফোরণ, রোহিঙ্গা চাপ সমস্যা আমাদের অর্থনীতিতে প্রবল চাপ সৃষ্টি করছে যার সিংহভাগই প্রত্যক্ষভাবে অথবা পরোক্ষ কৃষিজীবির বিপক্ষে। প্রতিকূল পরিবেশের মোকাবিলা করে কৃষিকে আঁকড়ে থাকাই আমাদের প্রধান ভরসা। সুতরাং, কৃষিক্ষেত্রে অবাধ যোগদান নিশ্চয়ই উপযুক্ত পরিবেশ তৈরী করে দিতে পারে ও অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করে জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে।
ইংল্যান্ড, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার জীবন মানের দিকে তাকানোর ফুরসৎ আমাদের নেই। আমাদের উন্নয়নের পটভূমি কৃষিভিত্তিকই তৈরি করতে হবে। ইংল্যান্ড, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার ২ থেকে ৫ শতাংশ মানুষ কৃষিজীবি, অন্যদিকে আমাদের দেশের ৭০ শতাংশই কৃষিজীবী। আকাশ-পাতাল তফাৎ। এ ধ্রæব সত্যকে উপেক্ষা করা যায় না। পরিকল্পিত অর্থনৈতিক বিচারধারা এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্ববহ। পরিবেশ , পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমাদের এখন মাঠে নামতে হবে এবং সরকারি অনুদানকৃত সমস্ত সুযোগ সুবিধা দেশের অর্থনৈতিক উদ্ধারকল্পে নিবেদিত হতে হবে। কৃষিক্ষেত্র থেকে মুখ না ফিরিয়ে নিজ অধিকার বলে ‘হরির লুট’কে নিয়ন্ত্রণ করে স্বনির্ভর হতে হবে। কৃষির উন্নতিতেই গ্রামীণ স্ব-নির্ভরতা দেশের অর্থনীতির বিকাশ। বিভিন্ন পরিকল্পণায় সরকার কৃষির উন্নয়নে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে চলেছেন। কোথায়, কি বাবদ, কত টাকা মঞ্জুর হচ্ছে, কিভাবে খরচ হচ্ছে শিক্ষিত সমাজকে তার খতিয়ান রাখতে হবে এবং নিঃস্বার্থ সেবায় তা পৌঁছে দিতে হবে প্রতিটি গ্রামে। এক্ষেত্রে সংবাদপত্রসহ বিভিন্ন মিডিয়া এবং সাংবাদিকদের ভূমিকাও অপরিসীম। সংবাদ মাধ্যম তৎপরতার সঙ্গে যেন রাজনৈতিক নেতাদের কেচ্ছাকাহিনীর পাশাপাশি সরকারি সমস্ত ব্যবস্থার স্বচ্ছ তালিকা সর্বদা যথাযথ ও নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হয় সে ব্যবস্থা করাও আবশ্যক।
বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে প্রথমেই লক্ষ লক্ষ অর্ধাহারী, অনাহারীর মৌলিক চাহিদার দিকে তাকানোর আবশ্যকতা রয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতি নিতান্ত পিছিয়ে নয়। দেশের অর্থনীতি এবং আপাদ শান্তির বাতাবরণ গ্রামীণ অর্থনৈতিক অবস্থানের উপরই টিকে রয়েছে। প্রয়োজন আরো গতি সঞ্চার। প্রবল জনবিস্ফোরণ এবং পরিকল্পিত শিক্ষা পদ্ধতি, দুর্নীতি এবং ভ্রষ্টাচারের সুযোগে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা আজ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। অপরিকল্পিত শিক্ষা পদ্ধতির ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা কলেজে উঠেই রঙ্গ-বেরঙ্গের জালে জড়িয়ে দিশাহীন হয়ে যায়। কৃষি এবং কৃষি সম্বন্ধীয় বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প আধুনিকতার পরশে চিরাচরিত দেশীয় জীবনযাত্রার মৌলিকতা সুরক্ষিত রেখেও নতুন দিশার সূচনা করতে পারে। হস্তশিল্প, বয়ন শিল্প, খাদি ও গ্রামোদ্যোগের প্রভাব আমাদের এতদঞ্চলের অনেক উন্নতি ঘটাতে পারে। এছাড়াও মৎস্য চাষ, ফল ও ফুল চাষ, পাট চাষ, পান চাষ, পশুপালন, দুগ্ধ প্রকল্প, ইক্ষু চাষ এবং তদসঙ্গে চা শিল্প ও কাগজ শিল্প আমাদের এতদঞ্চলের অর্থনীতিকে নতুন দিশা দিতে পারে।
এসব ক্ষেত্রে আরো অবাধ যোগদান এবং পরিকল্পিত অবস্থান শিক্ষিত যুবক-যুবতীকে শিক্ষার আলোয় নিঃসন্দেহে স্ব-নির্ভরতা দিয়ে আমাদের উন্নতির দিকে নিয়ে যাবে। শিক্ষা পদ্ধতিকে সে ধরনের কর্মমুখী করার উদ্দেশ্য সামনে নিয়ে সংস্কার করতে হবে।
পাহাড়ী জনজাতির জুম চাষ আমাদের অর্থনীতিতে যথেষ্ট সমাদৃত। এসব ক্ষেত্রে তাদেরও উন্নত চিন্তাধারা এবং সহযোগিতার প্রয়োজন। বনজ সম্পদের অবাধ ধ্বংস রোধ করে জুম চাষীর চাষ ক্ষেত্রকে উন্নত প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট সরকারি সহযোগিতা ও অনুদানের প্রয়োজন এবং সেটি সুনিশ্চিত করতে হবে। উপযুক্ত শৈক্ষিক পরিবেশ ও পরিকাঠামোতে আমাদের এতদঞ্চলের অর্থনীতি অবশ্যই দিশা পাবে। এক্ষেত্রে উপযুক্ত বাজার ও পথঘাটের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। আমাদের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান বেকার সমস্যা সমাধানে সহায়ক হবে। এজন্য অর্থনৈতিক প্রগতিতে আনতে হবে বাস্তবমুখী ও উৎপাদনমুখী পদক্ষেপ।
আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতিতে নারীর অবদান চিরন্তন। যাযাবর জীবনের অবসানে কৃষি সভ্যতার গোড়াপত্তনেও নারীর অবদান সর্বজনস্বীকৃত। আমরা বাংলাদেশী নারীকে ‘ঘরের ল²ী’ বলে জানি। বাস্তবে নারী দূরদর্শী ও অধ্যবসায়ী। আদর্শ সমাজ গঠনে অগ্রদূত।
কৃষি সভ্যতার এ দেশে গ্রামীণ মহিলারা পুরুষের কর্মক্ষেত্রের নিত্য অনুসঙ্গী। পশুপালন থেকে আরম্ভ করে চাষাবাদ এবং দ্রব্যের বাজারীকরণ সর্বত্রই নারীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগদান গ্রামীণ জনজীবনে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। এক কথায়, গ্রামীণ অর্থনীতি নির্ভর দেশীয় অর্থনীতিতে এবং সমাজ জীবনে নারীর অবদান ও ভূমিকা অপরিমেয়। যে জাতির নারীরা যত উন্নত মানসিকতায় সমুন্নত সে জাতির অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও সামাজিক ভারসাম্য তত বেশি সুরক্ষিত।
আমাদের এতদঞ্চলের কৃষিক্ষেত্রে অনেক শিক্ষিত মহিলা ও যুবতীদের প্রত্যক্ষ অবদান চোখে পড়ার মতো। তারাই মাঠে বর্ষাকালীন শস্য থেকে রবিশস্য উৎপাদনের সময় পর্যন্ত নিরলস সহায়তা করে যান পুরুষদের। গ্রামীণ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের সিংহভাগই মহিলাকেন্দ্রিক ও মহিলা নির্ভর। তবে অর্থনৈতিক সংস্কারকদের একটি ব্যাপারে সচেতন হতে হবে- কৃষি, কৃষিভিত্তিক শিল্প, ক্ষুদ্র ও যোগদান আনুপাতিক হারে সর্বাধিক হলেও মধ্যবিত্ত ও তদুর্ধস্তরের মহিলারা এক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মহিলাদের যোগদানের সুযোগ থাকলেও তাদের সিংহভাগই কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিযুক্ত নন। অনেক ক্ষেত্রে গ্রাম-শহর নির্বিশেষে মহিলাদের শ্রমবিমুখতাও দেখা যায়।
ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে মেয়েদের অবাধ ও নির্ভয়ে যোগদান আমাদের অর্থনীতিকে শুধু চাঙ্গা করবে না বরং মজবুত আর্থ সামাজিক পরিবেশের সূচনাও ঘটাবে। ফলে নারীরা শুধু বোঝা হবে না বরং সমাজের এ অর্ধাংশের যোগদানে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে নারী মুক্তিকে সুনিশ্চিত করবে। এক্ষেত্রে উপজাতি মহিলা, চা-শ্রমিক জনগোষ্ঠীর মহিলারা উদাহরণ হয়ে আমাদের আদর্শ প্রেরণা হতে পারেন।
আমাদের গ্রামীণ অর্থনৈতিক তাগিদে নারীদের আরো সক্রিয় হতে হবে এবং তাদের প্রতি সমাজ ও সরকারের আরো সহায়তা দান করতে হবে। তাদের প্রেরণায় সমাজের অন্যান্য জনগোষ্ঠীর নারীগণ আরো তৎপর হয়ে উঠবেন। শুধু হস্ত বা বয়ন শিল্প নয়, কৃষিভিত্তিক প্রতিটি অর্থনৈতিক উৎসেই নারীর অবদান বেশি এবং তদনুযায়ী গুরুত্ব অপরিসীম। সুপরিকল্পিত অবাধ যোগদানে নারীদের আরো নিষ্ঠা নিয়ে এগিয়ে আসার প্রতীক্ষায় সমাজ।
হীনম্মন্যতা এবং অনভিপ্রেত অভিমান ও সংকোচ সামাজিক অবক্ষয়ের দ্যোতক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও তার কুফল সুদূরপ্রসারী। আত্মসংস্কার এবং সমাজ সংস্কারে হোক অর্থনৈতিক অথবা নৈতিক অভিমানের তাড়না তা প্রশ্রয় পেলে অসম প্রতিযোগিতার সৃষ্টি করে। আদর্শ সমাজ গঠনে প্রয়োজন দৃঢ় ব্যক্তিত্বের এবং সেটির বিকাশ সুষ্ঠু পরিবেশের মাধ্যমেই সম্ভব।
সুতরাং, আগামী বাংলাদেশ অবশ্যই গড়ে উঠতে পারে কৃষিনির্ভর অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা ও গ্রামীণ নারীকূলের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদানের মাধ্যমে। গ্রামীণ মহিলাদের পাশাপাশি শহুরে মহিলারা গ্রামের এবং গ্রামভিত্তিক সভ্যতার সৌন্দর্যশোভা আস্বাদন করতে পারেন। শহুরে মহিলারাও শিক্ষা-দীক্ষায় দৃঢ়তায় ও আধুনিক জনসংযোগ আদি সুবিধার সাহায্যে দেশীয় অর্থনীতিতে গ্রামীণ মহিলাদের পাশাপাশি কাজ করতে পারেন। শহুরে মহিলারা গ্রামীণ সামগ্রীর বিপণন কাজে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারেন। প্রত্যন্ত এবং অত্যন্ত নিপীড়িত অঞ্চল ছাড়া গ্রামীণ মানুষ কিন্তু কু-শিক্ষিত বা অশিক্ষিত নয়। শিক্ষিত সমাজে শিক্ষিত মহিলারা প্রকৃত শিক্ষার আলো হাতে পথভ্রষ্ট ও দৈন্য জর্জরিত বাংলাদেশকে নিশ্চয় উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে দিতে পারেন। প্রয়োজন সমন্বয়ের এবং সময়ের।