বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন
কুলাউড়া প্রতিনিধি: কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নে ২ যুবককে পিঠিয়ে গুরুতর আহত করে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। ঘটনার ৮দিন পর পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করলেও সন্ত্রাসীদের হুমকির কারণে সঠিক চিকিৎসা নিতে পারছে না আহত যুবকদ্বয়। ফলে অনেকটা জিম্মি অবস্থায় পঙ্গুত্বের পথে নিজ বাড়িতে দিনযাপন করছেন তারা। সরেজমিন উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের পাহাড়ী ও প্রত্যন্ত জনপদ পাঁচপীর জালাই গ্রামে গেলে ভয়ঙ্কর এই তথ্য জানা যায়।জানা যায়, উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দুরে দুর্গম পাহাড়ী এলাকা পাঁচপীর জালাই গ্রামে কতিপয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা গত ২৬ মার্চ রাতে লিমন খাঁন (৩০) ও সিএনজি অটোরিক্সা চালক মনা ভর (২০) এর উপর হামলা চালায়। এতে তারা গুরুতর আহত হলে প্রথমে কুলাউড়া ও পরে সিলেট ওসামানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। লিমন খানের সাথে থাকা গরু বিক্রির ৭৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। ঘটনার পরদিন আহত লিমন খানের পিতা বদরুল ইসলাম কুলাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু ঘটনার ৮দিন পর গত ০৩ এপ্রিল রাতে কুলাউড়া থানায় মামলা (নং-০৩ তারিখ ০৩/০৪/২১) নথিভুক্ত হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, হামলাকারী গনি মিয়া, সালমান মিয়া, ছোবহান মিয়া ও সেলিম মিয়া এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এদের কাছে জিম্মি এলাকার মানুষ। ছিনতাই, সন্ত্রাসী হামলাসহ সকল অপকর্মের সাথে জড়িত তারা। কেউ প্রতিবাদ করলেই করা হয় সন্ত্রাসী হামলা। প্রথমে এই সন্ত্রাসীরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠে। আর বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় চালাচ্ছে তাদের অপকর্ম।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আহত লিমনের মাথা ফাটা ও দু’পা ভাঙ্গা। আর মনা ভরের হাত ভাঙ্গা। এ অবস্থায় হাসপাতাল থেকে প্লাস্টার করে একদিন পর রহস্যময় কারণে ছাড়পত্র দেয়া হয়। লিমন ও মনা ভর জানান, হাসপাতাল থেকে রিলিজ করার জন্য সন্ত্রাসীদের পক্ষে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ফোন করেন। এতে হাসপাতাল থেকে ফিরে তারা বাড়িতে বিনাচিকিৎসায় দিন কাটাচ্ছে। এখন সঠিক চিকিৎসা না হলে তাদের পঙ্গুত্ব বরণ করতে হবে।
হামলার সত্যতা স্বীকার করে জয়চন্ডী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার মনু মিয়া জানান, আমি ঘটনার পর বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য ২-৩ বার উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু হামলাকারীরা আপোষ নিষ্পত্তিতো দুরের কথা উল্টো আমাকে হুমকি দিচ্ছে।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভূষণ রায় জানান, ইতোমধ্যে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হারুন ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।