1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১৮ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

শ্রীমঙ্গলে ভেজাল চায়ে সয়লাভ, বিজিবির অভিযান

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২১
  • ১৫৭ বার পঠিত

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজার জেলায় নিন্মমানের চা ও মেয়ার্দ উক্তীর্ণ পচা চা পাতায় সয়লাভ হয়ে গেছে। এতে করে প্রকৃত চা ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। তারই আলোকে ৫৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে শ্রীমঙ্গল সিন্দুরখান সীমান্ত এলাকা থেকে বিপুল ভেজাল চা উদ্ধার করা হয়েছে।

বিশেষ করে দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র নিন্মমানের পচা চা পাতা কিছু ভাল চা পাতার সাথে মিশিয়ে দেশের বিভিন্ন বাজার গুলোতে বিক্রি করায় সাধারণ ক্রেতারা সর্বশান্ত হচ্ছেন। এতে দেশ বিদেশ থেকে আসা পর্যটকরা এসব চা ক্রয়ে চায়ের দেশ শ্রীমঙ্গলের সুনাম হারাচ্ছে।

শনিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তবর্তী ১৯৪৫ পিলার এম সংলগ্ন সিক্কা গ্রাম থেকে ৫৫ বিজিবি এক অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ পরিত্যক্ত চা পাতা উদ্ধার করা হয়।

শ্রীমঙ্গল ৫৫ বিজিবি অধিনায়ক এস এন এম সামীউন্নবী চৌধুরী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এক অভিযান চালিয়ে শ্রীমঙ্গল সিন্দুরখান ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী সিক্কা গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে মো. নুরু মিয়া ও মৃত আব্দুল বারীর ছেলে আব্দুর রহিম এবং একই গ্রামের আব্দুল মজিদ বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ পরিত্যক্ত চা পাতা উদ্ধার করা হয়েছে। তারা দীর্ঘ দিন ধরে এসব পচা চা পাতা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। অভিযানে বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে ওই চক্র পালিয়ে যায়। তবে কি পরিমাণ মালামাল উদ্ধার হয়েছে তা ওজন না করা পর্যন্ত সঠিক হিসাব পাওয়া যায়নি।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় একটি চক্র অটোরাইসমিল কারখানায় চা গাছের পরিত্যক্ত শুকনো পাতা, অন্যান্য গাছের পাতা ও চা ফ্যাক্টরি ওয়েস্টিস ডাস্ট সংগ্রহ করে ওই চা পাতা পচিয়ে পরে তার মধ্যে কেমিক্যাল মিশিয়ে এ বিষাক্ত চা পাতা তৈরি করে বাজার করে আসছিল চক্রটি। যা মানুষের খাবারের অপযোগী। ওই চা পানে শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

অভিযোগ রয়েছে, ফিনলে টি কোম্পানির বিভিন্ন চা বাগানের ফ্যাক্টরী থেকে একটি চক্র চা পাতা ও গ্রীন টি চুরি করে বাজারজাত করায় প্রকৃত চা ব্যবসায়ীরা মুনাফা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

শ্রীমঙ্গল ফিনলে টি কোম্পানির পরিবেশক ফাহিম এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে স্বনামধন্য কোম্পানির প্যাকেটজাত ফিনলে চাসহ বিভিন্ন চা বাগানের কোয়ালিটি চা বিক্রি করতে হিমশিম খাচ্ছি। ক্রেতারা প্রতারিত হওয়ার কারণে দ্বিতীয়বার চা ক্রয় করতে দ্বিধাবোধ করে।

উল্লেখ্য যে, চলতি বছরের রবিবার (২৭ জুন) বিকেলে শ্রীমঙ্গল সেক্টরের নিয়ন্ত্রণাধীন ৫৫ বিজিবির সদস্যরা উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের হামিদপুরের মৃত ছাবু মিয়ার ছেলে ভুটু মিয়ার বাড়িতে ও একই গ্রামের আবু ছায়েদ মিয়ার ছেলে সুহেল মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ছোট-বড় ২৪টি বস্তায় প্রায় ৫০০ কেজি ভেজাল চা ও ২০০ কেজি কাটের গুড়া জব্দ করা হয়েছিল।

৫৫ বিজিবির সহকারী পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পচা পাতা, চা পাতার গুড়া, কয়লার গুড়াসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর ক্যামিকেল মিশিয়ে চা পাতা তৈরি করে হকার ও দেশের বিভিন্ন এলাকার কিছু চা ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি যাচ্ছে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..